সুব্রত বিশ্বাস: রুট নিশ্চিত হয়নি এখনও। তবে রাজ্য থেকে আরও একটি ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vand Bharat Express) চালু হতে চলেছে খুব শিগগিরই। দ্রুতগতির কুলীন শ্রেণির সেই ট্রেনের রেক আইসিএফ বৃহস্পতিবারই তা হাওড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। আগামী ২৮ ও ৩০ এপ্রিল হাওড়া-পুরী রুটে ট্রেনটির ট্রায়াল রান হবে বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ট্রেনের সম্ভাব্য রুট হাওড়া থেকে পুরী বলেই মনে করছেন রেলের আধিকারিকরা। সেই কারণে ওই রুটকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগের যোগ্য করে তোলা হয়েছে। ট্রায়াল রানের পরই স্পষ্ট হবে, হাওড়া থেকে সেমি হাইস্পিড ট্রেনটি কতক্ষণ সময় নেবে পুরী (Puri)পৌঁছতে। তবে অন্য ট্রেনের চেয়ে অনেক কম সময়ে ট্রেনটি পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ চালু হয়েছে এ বছরের শুরুতেই। নানা বিতর্কের মাঝেই তার পথচলা জারি রয়েছে। বাংলা থেকে আরও একটি ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ চালুর কথা ছিল। চেন্নাইয়ের (Chennai) আইসিএফকে ১৫ ও ১৬তম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর রেক দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রেল বোর্ড। ফলে সরকারি নির্দেশ অনুসারে ওই দু’টি রেক এই দুই রেলেরই আসার কথা। রেল বোর্ড চেন্নাইয়ের আইসিএফ-সহ সংশ্লিষ্ট মহলে কাছে ২৪ এপ্রিল পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই এই তথ্য স্পষ্ট হয়। হাওড়া-পুরী ও হাওড়া-রাঁচি ওই দুই রুটে বন্দে ভারত চালানোর বিষয়ে আগ্রহের কথা বোর্ডকে জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটিও সম্ভাব্য রুট। এজন্য দুই রেল সময় সারণীও তৈরি করে ফেলেছে।
হাওড়া-রাঁচি রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৫৯ কিলোমিটার। ধানবাদের পরে বোকারো-চন্দ্রপুরা শাখায় খনি এলাকায় ভূগর্ভস্থ আগুনের জন্য ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটে। রেলপথের সমস্যা ওই রুটে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ চালু করার অন্তরায়। খড়্গপুর, টাটানগর, পুরুলিয়া হয়ে রাঁচি যাওয়ার পথও বিবেচনায় রয়েছে। হাওড়া-পুরী রুটে যাত্রী সংখ্যা বেশি। রেললাইনের প্রযুক্তিগত সমস্যাও কম। তীর্থক্ষেত্র ও পর্যটনের নিরিখে পুরীর গুরুত্ব সমধিক। রেলকর্তাদের বক্তব্য, ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ কোথায় কীভাবে চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রেল বোর্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.