টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: রাজ্যের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত আলু বিপণনের উদ্যোগ। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান থেকে বিদেশে আলু রপ্তানির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যের আলু যাবে রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস এবং জাপানে।
[লাফিয়ে বেড়েছে আলুর দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের]
এ রাজ্যে আলুর যা চাহিদা, তার থেকে ঢের বেশি আলুর চাষ হয় দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আলু রপ্তানি বা বিপণনের তেমন সুযোগ নেই। এদিকে আলু আবার অত্যন্ত পচনশীল ফসল। তাই বেশিদিন হিমঘরে সংরক্ষণ করারও উপায় নেই। ফলে সমস্যায় পড়েন এ রাজ্যের আলুচাষীরা। অতিরিক্ত আলুর বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত উদ্বৃত্ত আলু বিদেশ রপ্তানি করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। গত ১৮ এপ্রিল নবান্নে আলু রপ্তানি করা নিয়ে নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে এ রাজ্য থেকে রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস এবং জাপানে আলু রপ্তানি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঠিক হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানে উৎপাদিত আলু বিদেশে পাঠানো হবে। আলু রপ্তানির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। সরকারের উদ্যোগে খুশি আলু চাষিরা।
[সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নেই, CMOH-কে ঘিরে বিক্ষোভ]
রাজ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই। তবে এ রাজ্য থেকে বিদেশে আলু রপ্তানির ঝক্কিও কম নয়। নিজেদের দেশের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা না করে আলু আমদানিতে আগ্রহী নয় রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস এবং জাপান। কারণ, ওইসব দেশে আলু চাষ হয় এপ্রিল-মে মাসে অর্থাৎ গরমকালে। রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী বছর আলু ও আলুর গাছ, এমনকী, মাটির নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে রাশিয়া, মরিশাস ও জাপানে। কিন্তু, আমাদের রাজ্যে অম্লযুক্ত মাটিতে আলু চাষে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তাই এ রাজ্যের আলু আদৌ গুণগত মানের পরীক্ষায় পাস করবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা।
[সুখের সংসারে রাজনীতির হাওয়া, প্রচারে ধুম দম্পতির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.