Advertisement
Advertisement

Breaking News

জট কাটিয়ে চূড়ান্ত মিষ্টি হাবের জমি

বাছা হয়েছে দু’টি জায়গা৷ একটিতে ‘প্রি-প্রোডাকসন’ ও অন্যটিতে ‘পোস্ট-প্রোডাকশন’ হবে৷

West Bengal Sweet Hub land issue cleared
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 4, 2016 11:19 am
  • Updated:September 4, 2016 11:19 am  

স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: চাষিরা আপত্তি জানাতেই মিষ্টি হাবের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিকল্প জমির ব্যবস্থা করতে বলেন বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে৷ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্তাবিত মিষ্টি হাবের বিকল্প জমির চূড়ান্ত করল জেলা প্রশাসন৷ বিতর্কিত জমির অদূরে দু’টি জায়গা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ শনিবারই সেই জমি দু’টির মাপজোক করা হয়৷ ঘেরার কাজও শুরু করা হয়েছে৷ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হবে মিষ্টি হাবের নির্মাণ কাজ৷

শুক্রবার জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েকটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল মিষ্টি হাবের জন্য৷ শনিবার জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা জমি পরিদর্শনের পর মিষ্টি হাবের জায়গা চূড়ান্ত করা হয়৷ এক জায়গায় বেশি জমি না পাওয়ার কারণে দু’টি জায়গা বাছা হয়েছে৷ একটিতে ‘প্রি-প্রোডাকসন’ ও অন্যটিতে ‘পোস্ট-প্রোডাকশন’ হবে৷ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানান, বামচাঁদাইপুরে প্রায় অর্ধেক একর জমি চূড়ান্ত হয়েছে মিষ্টি হাবের জন্য৷ শক্তিগড়েও প্রায় আধ-একরের জমি চিহ্নিত হয়েছে৷ জেলা শাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে জমি পরিদর্শন করা হয়৷ সকলেরই জমি পছন্দ হয়েছে৷ সকলেই এই দুই জমিতে মিষ্টি হাব গড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন৷”

Advertisement

জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, আগে যে জমিতে মিষ্টি হাবের কাজ শুরু হয়েছিল সেখানে চাষিরা আপত্তি জানান৷ বাম আমলে তাঁদের কাছ থেকে অবৈধভাবে জমি নেওয়া হয়েছে বলে চাষিরা অভিযোগ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ তাঁর নির্দেশে সেখানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে৷ নতুন করে দু’টি জমি চূড়ান্ত করে সোমবার থেকে কাজ শুরু হচ্ছে৷ সভাধিপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত আমরা করবই৷ দ্রুত নতুন করে জমি চূড়ান্ত করে কাজ শুরু হচ্ছে৷”

বামচাঁদাইপুরের জমিটি খাস জমি৷ তবে সেখানে একাংশে কয়েকটি গুমটি ও ঝুপড়ি ছিল৷ দেবু টুডু তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ জেলাশাসকও কথা বলেছেন৷ তারপরই সরকারি কাজে খাস জমি থেকে সরে যেতে সম্মত হয়েছেন তাঁরা৷ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বামচাঁদাইপুরের জমিটি আকারে বড়৷ সেখানে উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনেরও ব্যবস্থা থাকছে৷ আর শক্তিগড়ের জমিতে মূলত বিপণনের ব্যবস্থা থাকবে৷ প্রাথমিকভাবে এটাই ঠিক হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement