ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের সময় বেহিসেবি টাকা বিলি ও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠল রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধানানিয়ার বিরুদ্ধে। এবিষয়ে তাঁকে জেরা করার জন্য তলব করেছে সিআইডি। গত ১৪ মে সাওয়ার ধানানিয়া-সহ আরও একজনকে পরেরদিন ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয় বলে খবর। কিন্তু, তাঁর পরিবারের তরফে নাকি জানানো হয় সাওয়ার ধানানিয়া কলকাতায় নেই। ১৯ কিংবা ২০ মে ফিরবেন।
গত ১২ মে আসানসোল স্টেশন থেকে দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং দিল্লির বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউকে এক কোটি টাকা-সহ গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। পরে সেই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ধৃতদের জেরা করে লোকসভার সময় হাওয়ালার মাধ্যমের টাকা পাচারের যোগসূত্রও খুঁজে পায় তারা। আরও জানা যায়, গত এক মাসে ধৃত লক্ষ্মীকান্ত সাউ কলকাতা এবং ওড়িশার একাধিক হাওয়ালা কারবারির থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা তুলেছেন। এবং সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। এরপর সাওয়ার ধানানিয়াকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠায় সিআইডি।
এই বিষয়ে জেরার জন্য আসানসোলের বার্নপুরের বাসিন্দা বজরঙ্গীলাল আগরওয়াল নামে এক বিজেপি নেতাকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরে বজরঙ্গীলাল আগরওয়ালের জ্ঞানভারতী নামে একটি বইয়ের দোকান আছে। ১২ মে খড়গপুর থেকে বার্নপুরে গিয়ে তাঁর থেকেই এক কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃতরা। বলেছেন, রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধানানিয়ার নির্দেশে ওই টাকা নিয়ে ফেরার সময় আসানসোল স্টেশনে ধরা পড়েন তাঁরা।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পরেই ভোট কিনতে বিজেপি টাকা বিলি করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা, পানাগড়ের এক ব্যক্তির থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ও রবীন্দ্র সরণি থেকে ৩০ লক্ষ-সহ বহু নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় আসানসোল স্টেশন থেকে টাকা-সহ দু’জনের গ্রেপ্তারির ঘটনায়। তাদের একজন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.