Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনুব্রতর পথেই কার্যসিদ্ধি, আসানসোলে বিরোধীদের ‘লস্যি-সরবতে’র দাওয়াই তৃণমূলের

প্রত্যেককে চিহ্নিত করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ১৪৪ ধারা জারি হওয়া এলাকার বাইরে৷

West Bengal panchayat polls: Violence mars nomination in Asansol
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 10, 2018 12:07 pm
  • Updated:January 29, 2019 8:08 am  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলের গুড়-বাতাসার তত্ত্ব মনে আছে? সেই ধারা বজায় রেখেই এবার বিরোধীদের সরবত, লস্যি খাওয়ালেন আসানসোলের তৃণমূল কর্মীরা৷ বাইরে থেকে আসা বিরোধী দলের যে কর্মীরা পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন, পুলিশের সামনেই তাঁদের সরবত আর লস্যি খাওয়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা৷ বারাবনি, সালানপুর, জামুড়িয়া বা রানিগঞ্জ যেখান থেকেই সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কর্মীরা এসে মহকুমা শাসকের অফিস ঢোকার চেষ্টা করছেন, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ১৪৪ ধারা জারি হওয়া এলাকার বাইরে৷ বলা হচ্ছে, রোদে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিরোধীরা৷ তাই তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা৷ কিন্তু আদতে বিষয়টি একটু নয় অনেকটাই অন্যরকম৷ অভিযোগ, সরবত বা লস্যির খাওয়ানোর নামে আদতে রাম দাওয়াই দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের৷

[২৩ কিমি বাইক চালিয়ে মনোনয়ন জমা, পুরুলিয়ায় চমক পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর]

Advertisement

সোমবার সকাল থেকেই আসানসোলে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে৷ তবে আসানসোল মহকুমা শাসকের অফিস ও আদালত একই জায়গায় হওয়ায় অনেকেই ফাঁক গলে মনোনয়ন জমা দিতে সমর্থ হন৷ দুই অফিসের একাধিক দরজা৷ সেই সুযোগ অনেকেই নিয়েছেন৷ এরই মধ্যে শুরু হয় লস্যি, সরবত খাওয়ানোর পর্ব৷ তবে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ এমনই কিছু প্রার্থী আত্মরক্ষার জন্য পাশ্ববর্তী কোর্ট সংলগ্ন আইনজীবীদের সেরেস্তায় ঢুকে পড়লে সেখানেও শাসকদলের গুন্ডারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ৷ এরই মধ্যে আইনজীবীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় হামলাকারীদের৷ আইনজীবীরা সম্মিলিত ভাবে তাঁদের কাজের অসুবিধার অভিযোগে মনোনয়ন পর্ব অন্যত্র সরানোর দাবি তোলেন৷ তাতেও কাজ না হওয়ায় তাঁরা প্রায় আধ ঘণ্টা পথ অবরোধ করেন৷ শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলে বিক্ষোভ উঠে যায়৷

[সেজেগুজে সাড়ম্বরে চলেছেন মহিলা প্রার্থী, বিয়েবাড়ির লোক ভেবে ভ্রম বাসিন্দাদের]

তবে জামুড়িয়া থেকে আসা কংগ্রেসের ভক্তিপদ চৌধুরি জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা করতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান৷ পাশাপাশি সালানপুর এলাকা থেকে আসা রণজিৎ দাস ব্যর্থ হন কংগ্রেসের হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা করতে এসে৷ তাঁরা উভয়েই শাসক দলের প্রতি সন্ত্রাসের অভিযোগ করেন৷ এরই মধ্যে নাকি মনোনয়ন জমা দেওয়াতে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় কখনও কখনও শাসক দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের প্রার্থীদেরই পথ আটকে ফেলে৷ শেষে ভুল বুঝতে পেরে নিজেরাই সংশোধন করে নেয়৷

IMG_20180409_110724

[সুপ্রিম রায়ের ‘ধাক্কা’তেও আশাবাদী মুকুল, কার্যত হতাশ দিলীপ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement