নন্দন দত্ত: আসন আছে। বিরোধী নেই। ফলে জয় নিয়ে কোনও সংশয়ও নেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মনে। মনোনয়নের শেষ দিনেই জয় প্রায় পাকা। ফলে আবির খেলা বীরভূম জুড়ে।
[ বিজেপি প্রার্থীর মেয়েকে মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত বারুইপুর ]
সোমবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বীরভূমের ৪২টি জেলা পরিষদের মধ্যে মাত্র একটিতেই প্রার্থী দিতে পেরেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেও বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটিতেই। ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছে মোটে পাঁচটিতে। অর্থাৎ বাকি ১৪টি আসনে কোনওরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় পেরিয়েছে। ফলে এই পরিসংখ্যানই জানিয়ে দিচ্ছে শাসকদলের জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সেই দাবিই করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। আর মানুষ যে সেই উন্নয়নের পক্ষে তাই-ই এতে বোঝা যাচ্ছে।’ এরপরই আবির খেলায় মেতে ওঠেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি অনুব্রতর দাবি, আগামী ১৬ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ততদিন পর্যন্ত সম্ভবত আর কোথাও কোনও বিরোধী থাকবে না। যাঁরা এখনও বিরোধিতা করছেন, তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহারই করে নেবেন। ফলে তাঁর আশা নিরঙ্কুশ জয় হাসিল হবে।
[ মনোনয়নের শেষ দিনে গুলি চলল মগরাহাটে, জখম ২ পুলিশকর্মী ]
এদিকে গত কয়েকদিনে মহম্মদবাজার, নলহাটিতে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ যৌথভাবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে। আজই অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, যদি কোথাও কোনও বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন যেন তাঁকে ফোন করেন। তিনি পাহারা দিয়ে বিরোধীকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। বেলা তিনটের পর অনুব্রতবাবুর দাবি, তাঁর কাছে কেউ এরকম কোনও আবেদন করেননি। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, রাস্তায় বেরলেই দেখা যাবে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। এদিনও সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন। জানালেন, রাজ্যে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিরোধিতার পরিবর্তে এই ছবি উঠে আসাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে, অনুব্রতর এই মন্তব্যকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। দলের নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভোটের আগেই জয় হাসিলের গল্প শোনাচ্ছে? সন্ত্রাস করে মনোনয়ন জমা দিতে না দিয়ে এখন বিরোধীশূন্য জয় বলা হচ্ছে? আমরা কমিশনকে বলেছি, এভাবে ভোট হবে?’ কমিশন তাঁদের কাছ থেকে ঘণ্টাখানেক সময় চেয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.