সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে রাজ্য জুড়ে বেনজির অশান্তি। শাসক-বিরোধী সংঘাত পৌঁছে গিয়েছে আদালতেও। আর এবার মনোনয়নপত্রে স্ত্রুটিনিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড পুরুলিয়া বলরামপুরে। প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাঠিচার্জ। সংঘর্ষে বিজেপির বলরামপুর মণ্ডল সভাপতি-সহ ৪ জন জখম হয়েছেন। ঘটনায় একে অপরের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। এদিকে আবার পুরুলিয়া পুরুলিয়া ২ ব্লকের বুড়িডি গ্রামে ভোট প্রচারের বেরিয়ে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মীকে। তাঁকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি কর্মী ভরতি পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে।
[নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তা ছাড়লেন সিদ্দিকুল্লা]
এবার পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এমনকী জেলা পরিষদের সিংহভাগ আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। তবে শুধু বীরভূমই নয়, রাজ্যে সব জেলাতে বিরোধীদের অবস্থা কম-বেশি একই। অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীদের দাপটেই মনোনয়ন দিতে পারেনি বিরোধীরা। মনোনয়ন দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরোধীদের অতিরিক্ত আরও একদিন সময় দিয়েছিল কমিশন। সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। এখন জেলা জেলায় মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি করার কাজ চলছে। বুধবার স্ক্রুটিনিকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ার বলরামপুরে। আহত হলেন বিজেপির বলরামপুর মণ্ডল সভাপতি অশ্বিনী সিং সর্দার-সহ চারজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। বুধবার সকালে পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লক অফিসে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি মনোনয়ন স্ক্রুটিনির কাজ চলছিল। ব্লক অফিসে বাইরে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। প্রথমে দুই দলের সমর্থকের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। সেই বচসা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। চোখের নিমেষে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সংঘর্ষে বিজেপির বলরামপুর মণ্ডল সভাপতি অশ্বিনী সিং সর্দার-সহল ৪ জন আহত হয়েছে। তাঁদের আনা হয়েছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে।
[প্রার্থী ভেবে সরকারি কর্মচারীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল]
এদিকে এই ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপি পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ব্লক অফিস সামনে লাঠি, লোহার রড নিয়ে জমায়েত করেছিলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাই বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলার চালিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার পালটা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বলরামপুর ব্লক সভাপতি সুদীপ মাহাত।
[পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে, কলকাতার ধর্মতলা-কালীঘাটে সাজ সাজ রব
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.