রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। বিজেপির করা মামলার প্রেক্ষিতে আজ এ কথা জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যা অভিযোগ তা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনেই। এই রায়ের পরই রাজ্য গেরুয়া শিবিরে দু’রকম ছবি।
[ পঁচাত্তরেও প্রার্থী অজিত কুম্ভকার, বাড়িতে এসে আশীর্বাদ নিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা ]
সুপ্রিম রায় রাজ্যের পক্ষে ওভার বাউন্ডারি। এমনটাই মন্তব্য করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল বিজেপি। যদিও সুপ্রিম কোর্ট আজ বল ঠেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কোর্টেই। রাজ্যের এই জয়কেই ওভার বাউন্ডারি বলে ব্যাখ্যা করেন কল্যাণবাবু। যদিও বিজেপি নেতা মুকুল রায় শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েই দাবি করেছেন, “কোথাও কোনও ওভার বাউন্ডারি কেন, একটা সিঙ্গলও কেউ নিতে পারেনি। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ১৪ ও ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, যে মনোনয়ন দিতে পারবে না, তার মনোনয়ন নিতে বাধ্য নির্বাচন কমিশন।” সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
[ কমিশনের দাবি খারিজ, পঞ্চায়েত ভোটে প্রতি ব্লকে পর্যবেক্ষক দিল না রাজ্য ]
এই যখন একদিকের ছবি, তখন অন্যদিকে খানিকটা হতাশারই সুর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তাঁর বক্তব্য, “গাছের (কমিশন) সামনে কান্নাকাটি করে কী লাভ! তবু আমরা কিছু প্রার্থীকে নিয়ে যাচ্ছি কমিশনের কাছে। এই একটা নির্বাচন শেষ কথা নয়, এক মাঘে শীত যায় না।” এদিন রায় ঘোষণার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় শিরোধার্য। রাজ্যে মনোনয়ন পেশ করতে পারছে না বিরোধীরা। তাই আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী ৮-১০টি জেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় তৃণমূল আর পুলিশ যৌথভাবে বাধা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২২ হাজারের মতো মনোনয়ন জমা দিয়েছি আমরা। এটা আজ ৩০-৩৫ হাজার হয়ে যেতে পারে।”
সুপ্রিম কোর্টের রায় বিজেপির হার নয় এমনটা মুকুল রায় দাবি করলেও, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কোনও লাভ হবে না, এমনটা বুঝিয়ে কার্যত হতাশা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.