Advertisement
Advertisement

Breaking News

সচেতন হয়ে উঠেছেন গ্রামের মানুষ, টিকাকরণে এগিয়ে বাংলা

ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্টে প্রকাশ।

West Bengal much ahead in vaccination chart in India: Report
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 30, 2018 3:29 pm
  • Updated:August 24, 2018 5:23 pm  

প্রীতিকা দত্ত:  ‘নিরাময়ের চেয়ে সময়ে প্রতিরোধ ভাল।’ এই আপ্ত বাক্যকে সামনে রেখেই শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার পথে এগিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ,  পোলিও, নিউমোনিয়া  কিংবা হেপাটাইটিস বি, সঠিক সময়ে প্রতিষেধক দিলে, অনেক রোগকেই সমূলে নির্মূল করা সম্ভব। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সাম্প্রতিক রিপোর্টে (২০১৫-১৬) জানা গিয়েছে, শিশুদের টিকাকরণে পশ্চিমবঙ্গ তিন নম্বরে। বামশাসিত কেরলকেও টপকে গিয়েছে আমাদের রাজ্য। বস্তুত, এ রাজ্যে টিকাকরণের হার শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি। রিপোর্ট বলছে, গ্রাম বাংলায় টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা গিয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ নবজাতকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তালিকায় প্রথম পাঞ্জাব। দ্বিতীয় স্থানে গোয়া।

[সহায় রূপশ্রী প্রকল্প, দুশ্চিন্তা কাটিয়ে বিয়ের সানাই বাজল হুগলির মণ্ডল পরিবারে]

Advertisement

প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পালন করে বিশ্ব ইমিউনাইজেশন সপ্তাহ পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলে বিশ্ব ইমিউনাইজেশন সপ্তাহ। এই উপলক্ষেই গোটা দেশে টিকাকরণে হালহকিকৎ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্ট (২০১৫-১৬)বলছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮৫ শতাংশ শিশুদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে।‘ তবে  ২০১৮ সালে পর্যন্ত  এ রাজ্যে টিকাকরণে হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বিশ্ব ইমিউনাইজেশন সপ্তাহের শুরুতে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ দেশের এমন একটি রাজ্য যেখানে ৯৪ শতাংশ শিশুর ইমিউনাইজড করা সম্ভব হয়েছে। টিকাকরণের কাজে বাবা মায়েদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, টিকায় কাজ হয়।‘

[কন্যাশ্রী-র জিওনকাঠি, একই ছাঁদনাতলায় মালাবদল ১০ জোড়া বর-কনের]

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিকর্তা  অজয় চক্রবর্তী ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে বললেন,  ‘গ্রামের দিকে শিশুদের টিকাকরণের কাজে আমরা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। গত পাঁচ-সাত বছরে এ রাজ্যে ভালই কাজ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয় শহরাঞ্চলে।”  তিনি জানিয়েছেন,  গ্রামের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। সেখানে লিঙ্ক পার্সন বা মোবিলাইজারের মাধ্যমে শিশুদের টিকাকরণ করা হয়। কিন্তু, শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ মা-ই ‘ওয়ার্কিং উইমেন’। অনেকেই মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হতে না হতেই কাজ যোগ দেন। তাই শহরে কতজন শিশুকে টিকাকরণ প্রকল্পের আওতায় আনা গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য, অনেক সময় শহরে মাত্র ৭৫ টাকায় ‘মোবিলাইজার’ খুঁজে পাওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ। শিশুমৃত্যু ঠেকাতে এবং সুস্থ শৈশবের জন্য টিকাকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। হু-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী,  শুধু শিশুমৃত্যু নয়, সঠিক টিকাকরণ অনেক সময় জীবনদায়ী ওষুধের মতোই কাজ করে। তাই টিকাকরণ নিয়ে মা বাবাদের সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকরা বলেন,  ‘জন্মের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সদ্যোজাতকে পোলিও-র জিরো ডোজ এবং হেপাটাইটিস বি-র বার্থ ডোজ দেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন।‘

[ভোররাতের তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাংলা, বৃষ্টি শহর কলকাতাতেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement