সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদ গেল না গান্ধীজয়ন্তীর মতো পবিত্র দিনও। এই দিনও জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এবার তার পালটা জবাবও পেলেন। রাজ্যপালকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৃহস্পতিবার বারাকপুরের গান্ধীঘাটে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান অনুষ্ঠানে ধনকড়ের আচরণে বিরক্ত হয়ে ব্রাত্য বসুর এহেন মন্তব্য।
বৃহস্পতিবার সকালে চিরাচরিত নিয়ম মেনে বারাকপুরের গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। করোনা আবহে স্বভাবতই দূরত্ববিধি মেনে, যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে ছোট অনুষ্ঠান হয় এদিন। দর্শক প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। সাংবাদিকদেরও জন্যও জারি ছিল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়া উচিত। দেশে কোনও নির্বাচনের আগে যে হিংসা শুরু হয়, তা মঙ্গলজনক নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য যে, রাজ্য সরকার সংবিধানকে অপমান করছে। রাজ্যপালকেও অপমান করা হচ্ছে। তার মানে রাজভবনেরও অপমান। এরপর টুইটেও ফের একপ্রস্ত সরকারের সমলোচনা করেন ধনকড়।
এদিন গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দমদমের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি পরে জানান যে রাজ্যপাল নাকি তাঁর থেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। ধনকড়ের এই আচরণে বিরক্ত এবং অসন্তুষ্ট ব্রাত্য বসুর এরপরই তাঁকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ করেন। এর আগেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন একাধিক মন্ত্রী। প্রায়শয়ই ধনকড়কে কড়া জবাব দিতে শোনা গিয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমকে। এবার সেই তালিকাতেই যুক্ত হলেন ব্রাত্য বসু। বুঝিয়ে দেওয়া গেল, মমতা সরকারের উদ্দেশে রাজ্যপালের কোনওরকম কটাক্ষের জবাব দেবেনই মন্ত্রীরা।
তবে ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যে আবার পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ”তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় তাঁদের এমন মন্তব্য। এই আচরণ অসাংবিধানিক। মানুষ রাজ্যপালের পাশেই আছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.