প্রতীকী ছবি।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: টিন দেওয়া মাটির ঘর। বাজারে প্রচুর দেনা। ঘরে দুই সন্তান, স্ত্রী। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বনগাঁর (Bangaon) কৃষ্ণপদ হালদার। সংসারের হাল ফেরানোর আশায় গিয়েছিলেন মালয়েশিয়া (Malaysia)। কিন্তু সেখান থেকে ফিরল সেই পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ। ট্যাংরার গ্রামের বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর কৃষ্ণপদ হালদারের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা হয়েছিল। ইদানীং বেশ কিছু দেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই ধার মেটাতে একটি তালবাগানের কাজ নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া। কিন্তু কে জানত, আগামিদিন কোন শোকের খবর বয়ে আনবে? বিদেশে যাওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই হালদার পরিবারের উপর নেমে এল ঘন কালো মেঘের ছায়া। চলতি মাসের ২২ তারিখে অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষ্ণপদবাবু। সেই কথা বাড়িতে ফোন করে জানান তাঁর সহকর্মীরা। তাঁরাই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার ৮ দিন পর বাড়িতে এল কৃষ্ণপদর দেহ।
স্বামীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন কৃষ্ণপদ হালদারের স্ত্রী বলছেন, “বাজারে অনেক দেনা ছিল। এখানে তেমন কাজ নেই। তাই স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে মোটা টাকা রোজগার করার। দুই ছেলের পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ঘর বেঁধে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তা আর হল না। কীভাবে দুই সন্তানের লেখাপড়া হবে তা বুঝে পাচ্ছি না।” ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বরূপ বিশ্বাস পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.