স্টাফ রিপোর্টার: আষাঢ়ের মাঝামাঝি। কথা ছিল আকাশ ঢেকে যাবে কালো মেঘে। ঝাপসা হয়ে আসবে পথ। কিন্তু কোথায় কী? ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত আর ভ্যাপসা গরমের এমন অবাক আষাঢ় দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণের। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৫৮ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। স্রেফ জুন মাসেই সেই ঘাটতির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। বর্ষা মরশুম অর্ধেক শেষ হয়ে গেলেও এখনও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বৃষ্টিহীন। ফলে পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবে নাকাল রাজ্য।
কারণ, বৃষ্টির অভাব হলে চাষ ঠিকমতো হবে না। আর তা না হলে একদিকে যেমন খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা, একইসঙ্গে খরা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে না পারলে খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দিতে পারে। বর্ষা এখনও ঠিকমতো শুরু না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন করতে পারছেন না। কারণ, বীজ বপনের পর সময়মতো বৃষ্টির জল না পেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই বীজ যাতে নষ্ট নয়, তার জন্য কৃষকদের আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা গোটা দেশেরও।
[ আরও পড়ুন: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ, ১ মাস পর অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার ]
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেখে মৌসম ভবন জানিয়ে দিয়েছে, বর্ষার মরশুম হলেও এখনও বৃষ্টি নামেনি প্রায় অর্ধেক ভারতে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, হরিয়ানায় তাপপ্রবাহ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, সিকিম, অসম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি। জুলাই মাস শুরু হলেও এখনও গড়ে গোটা দেশে ২৪ শতাংশ বৃষ্টি কম। ফলে খরা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে রাজ্য-সহ দেশের একাধিক জেলা। জল সংকটের শিকার হওয়া দেশের ২৫৫টি জেলায় আজ, ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ‘জলশক্তি অভিযান’। দেশের ৩১৩টি ব্লকে জলের অবস্থা ভয়ঙ্কর বলেই কেন্দ্রের কাছে তথ্য।
কীভাবে ওই এলাকার জলসঙ্কট সমস্যা মেটানো যায়, তারই লক্ষ্যে ওই অভিযান। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই অভিযান চলবে। বিষয়টি নিয়ে কৃষিমন্ত্রক যেমন চিন্তিত, একইভাবে সমস্যার মোকাবিলায় উদ্যোগ বাড়াচ্ছে জলশক্তি মন্ত্রক।
[ আরও পড়ুন: বনগাঁয় গভীর রাতে কাউন্সিলরের বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.