শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: শেষরক্ষা হল না। প্রথম দিনের পর ফের শেষ দিনেও ফাঁস মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রশ্নপত্র। বুধবার পরীক্ষা শেষের ঠিক দেড়ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় জীবনবিজ্ঞান প্রশ্নপত্র। তবে ভাইরাল ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের মিল আছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই জানা যায়নি। পরীক্ষা শেষের পরেই জানা যাবে তা।
বুধবার ছিল মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা শেষের ঠিক ঘণ্টাদেড়েক আগে দেখা যায় মুর্শিদাবাদের অর্জুনপুর সোশ্যাল গ্রুপে জীববিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, যে ফোন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রটি ছড়িয়ে পড়েছে সেই নম্বরটি হল: ৯০০২৩৯১৯৩৪। এই নম্বরের সিমটির মালিক আজমল হক। আদৌ ভাইরাল হওয়া সেই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আসল প্রশ্নের কোনও মিল রয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা হয়েছে। পরীক্ষা শেষের পরই জানা যাবে শেষদিনেও আদৌ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আদৌ মুখরক্ষা হল কি না।
এর আগেও মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ফরাক্কার অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের টুকলি সরবরাহের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ওমর ফারুক। তিনি অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূগোল পরীক্ষা চলার সময় ২৩ নম্বর রুমে প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠের এক ছাত্রকে নকল-সহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক সৌরভ পাল ও অসিত কুমার মণ্ডল। ছাত্রটির খাতা, নকল-সহ প্রধান শিক্ষক রফিকুল ওয়ারার কাছে দেন। ছাত্রটিকে জেরা করে শিক্ষকরা জানতে পারেন বিদ্যালয়ের কোনও এক শিক্ষক শৌচালয়ে মোট একএিশ নম্বর প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখে রেখে এসেছিলেন। বিষয়টি জানার পর প্রধান শিক্ষক রফিকুল ওয়ারা বাথরুমে গিয়ে আরও সাতটি উত্তরপত্র উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়া উওরপএের হাতের লেখা খতিয়ে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুকের হাতের লেখার সঙ্গে মিলে যায় তা। বিষয়টি জানাজানি হতেই ছাত্রছাএী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়। শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে সরব হন অভিভাবকরা। অবশেষে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শনিবার দুপুরে বৈঠকে বসেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ওয়ারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ইনচার্জ প্রদীপ দও, বোর্ড সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, সেন্টার সেক্রেটারি নির্মলকান্তি মণ্ডল, স্কুল স্টাফ কাউন্সিলের সদস্যরা ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি লাল মহম্মদ। বৈঠকে শিক্ষকদের এই আচারণ নিয়ে ভৎর্সনা করা হয়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষকদের জানান হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক এবং সেন্টার ইনচার্জকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.