Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal Lok Sabha Election 2024

‘বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় রেখে চলে যায়’, মন্দিরে প্রার্থনা করে কীর্তি আজাদকে তোপ দিলীপের

পালটা জবাব দিলেন কীর্তি আজাদও।

West Bengal Lok Sabha Election 2024: Dilip Ghosh slams Kirti Azad, uses outsider remark

(বাঁদিকে) দিলীপ ঘোষ এবং (ডানদিকে) কীর্তি আজাদ

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 30, 2024 1:52 pm
  • Updated:March 30, 2024 2:52 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুকথা’র অভিযোগে সদ্যই নির্বাচন কমিশনে শোকজের জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বেসামাল বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কীর্তি আজাদকে নিশানা দিলীপের। কালীবাড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে পুরোহিতের কাছে আশীর্বাদ নিয়ে বললেন, “বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় ছেড়ে চলে যায়।” 

শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভা এলাকার কামনাড়ায় গৌড় কালীবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন দিলীপ ঘোষ। পুরোহিতের কাছে আশীর্বাদ নেওয়ার সময় বলেন, “মাকে বলুন, যেন বর্ধমান দুর্গাপুরে সম্মান পাই। বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় ছেড়ে চলে যায়।” ভাতার বাজারে পদযাত্রাও করেন। সারেন কর্মী বৈঠকও। তাতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সদর জেলা সভাপতি-সহ মণ্ডল কমিটির কর্মকর্তারা। এর আগে এদিন সকালে বর্ধমানের লোকো এলাকায় (রেলের আবাসন) একটি ক্লাবের মাঠে ও শিশু উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ। ক্রিকেট খেলেন। একের পর এক বলে ‘পাওয়ার হিটিং’ দিলীপের। কীর্তি আজাদকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “আমি রিটায়ার্ড নই। টায়ার্ডও নই। আমি এখনও সেভাবেই খেলি। যে মাঠে যাই সেভাবেই খেলি। এবং জিতি। জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেব। ওরা তো তালই পাবে না, কখন ইলেকশন পার হয়ে যাবে।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]

এদিন সকালে রেলের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। শিশু উদ্যান অপরিষ্কার দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। রেলমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশু উদ্যান পরিষ্কারের ডেডলাইনও বেঁধে দেন। স্থানীয় রেল আধিকারিককে বদলির হুঁশিয়ারি দেন। “কাজ না হলে অন্য জায়গায় ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন”, বলেই রীতিমতো হুমকি দেন দিলীপ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুকে হাতিয়ার করে তাঁকে পালটা জবাব দেন কীর্তি আজাদ।  তাঁর খোঁচা, “মোদি সরকার বাংলার লোকেদের জন্য কী করেছেন আগে তা বলতে বলুন।” 

কপিল দেবের সতীর্থ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটের নামী ব্যক্তিত্ব কীর্তি আজাদ। ১৯৮৬ সালে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর শুরু রাজনৈতিক ইনিংস। বাবা ভগবৎ আজাদের পথে হেঁটে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান কীর্তি। সেখানেই বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। দ্বারভাঙা থেকে দুবারের সাংসদও নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দলের সঙ্গে মতান্তরে বিজেপি তাঁকে বহিষ্কার করে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। বছর দুয়েকের মধ্যে ফের দল বদলে তৃণমূলে কীর্তি আজাদ। তাই তাঁকে বার বারই ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়েছে বিজেপি। 

[আরও পড়ুন: ভোটের আগে খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার ৮২ লাখ টাকার সোনা, গ্রেপ্তার ৫]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement