শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ২৪ ঘন্টা ধরে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা বন্ধ। আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাগামী সমস্ত গাড়ি আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তার পালটা প্রতিরোধে ঝাড়খণ্ডেও শুরু হয়েছিল বনধ। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে পড়ে বাস, ছোট গাড়ি ও ট্রাক। ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে দিয়েছিলেন বাংলা থেকে আসা গাড়িগুলি। চরম উত্তেজনা দেখা দেয় চেকপোস্ট এলাকায়। এই চাপ, পালটা চাপে অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পরই খুলে গেল দু রাজ্যের সীমানা। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে বাংলা-ঝাড়খণ্ডের মধ্যে শুরু হল যান চলাচল। আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা।
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানার ৫ টি নাকা চেকপোস্ট রাতারাতি সিল করে দেয় পুলিশ। তার জেরে আটকে ছিল প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি। বিপাকে পড়েছিলেন গাড়ি চালকরা। বিশেষ করে রাজ্য সড়ক ও নাকা চেকপোস্ট আটকে দেওয়া হয়। সিমলা থেকে আপেল, পাঞ্জাব থেকে ন্যাসপাতি, দিল্লি থেকে সেনা ক্যাম্পের জন্য প্যাকেটবন্দি খাবার – সবই আটকে পড়েছিল ট্রাকগুলিতে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ডুবুডি চেকপোস্টে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল লরি, গাড়ি। এমনকী জরুরি পরিষেবা গাড়িও আটকে ছিল। রাতেই ডুবুডি চেকপোস্টে ছুটে আসেন ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে চান, কেন আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি? জেলা পুলিশ প্রশাসন তেমন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে খবর। শুধু জানিয়েছেন, এটাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ।
এর পর শুক্রবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডও একই পদক্ষেপ নেওয়ায় বিপাকে পড়েন দুরাজ্যের ব্যবসায়ীরা। পণ্যবাহী ট্রাকগুলিতে প্রচুর খাদ্য সামগ্রী থাকায় তার সরবরাহ নিয়ে চিন্তা দেখা দেয়। তবে শুক্রবার সন্ধে ৬টা থেকে সীমানা খুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, ডিভিসি অনবরত জল ছাড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা কবলিত এলাকায় ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে ৭২ ঘন্টার জন্য বাংলা-ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা খুলে দেওয়া হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.