সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক (HS Result 2021) পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হল। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেই নিরিখে এদিন ফল প্রকাশ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়নি।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জানানো তথ্য অনুযায়ী, এবার উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Exam) উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৭.৬৯ শতাংশ। প্রথম দশ জনের মধ্যে রয়েছে ৮৬ জন। প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম ছাত্রী। তিনি এককভাবেই এই নম্বর পেয়েছেন।
এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৮ জন। পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। সব জেলার পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। এ বছর কলা বিভাগে পাশের হার ৯৭.৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৯.৭৭ শতাশ। এবং বাণিজ্য বিভাগে পাশ করেছেন ৯৯.০৮ শতাংশ পড়ুয়া। এবার কোনও অসম্পূর্ণ রেজাল্ট নেই। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ছেলে ও মেয়েদের পাশের হার প্রায় সমান। ৯৭.৩৩ শতাংশ। তবে এবার গতবারের তুলনায় ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭ জন।
রেজাল্টের (Higher Secondary Result) নম্বর নিয়ে পড়ুয়ারা অসন্তুষ্ট হলে তা রিভিউ করা যাবে। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে নিয়ম মেনে সেই আবেদনপত্র সংসদের অফিসে জমা দিতে হবে। সেই আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা করতে হবে একাদশ শ্রেণির উত্তরপত্র।
উচ্চমাধ্যমিক মূল্যায়ন পদ্ধতি:
উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরির ক্ষেত্রে তিন ধাপে নম্বর দেওয়া হয়েছে –
১. ধাপ A – ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাই যেহেতু এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, তাই তাদের মাধ্যমিকের ফলাফল থেকে কিছু নম্বর যোগ করা হয়েছে। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিকে যে চারটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর রয়েছে, তা বেছে নম্বর যোগ করে, তার ৪০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হয়েছে। মার্কশিটে নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রথম ধাপের নম্বর সেটাই। এই নম্বর প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে একই থাকবে। অর্থাৎ ধাপ A’র নম্বর স্থায়ী।
২. ধাপ B (যে সব বিষয় ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিক্যাল হয়) – একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় থিওরির মোট নম্বরের ৬০ শতাংশের উপর নম্বর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে থিওরি যদি ৭০ নম্বরের হয়, তাহলে তার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২ নম্বরের মধ্যে পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর বিবেচিত হয়েছে।
৩. ধাপ C (যে সব বিষয় ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিক্যাল হয়) – বাকি থাকছে ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যালে যে নম্বর পেয়েছে পড়ুয়া, সেই নম্বরের পুরোটা যোগ হবে।
এই তিন ধাপ অর্থাৎ A,B,C তিনটি নম্বর যোগ করে একেকটি বিষয়ের মোট প্রাপ্ত নম্বর বসানো হয়েছে মার্কশিটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.