নন্দন দত্ত ও সুনীপা চক্রবর্তী: কথা ছিল, শুক্রবার থেকে রাজ্যে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’। রাজ্যের মোট ২৩ জেলার ২৮ টি রেশন দোকান বেছে সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে, এমনই স্থির হয়েছিল মঙ্গলবার খাদ্যদপ্তরের বিশেষ বৈঠকে। বাস্তবে দেখা গেল, নির্দিষ্ট দিনে প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই প্রস্তুতি হিসেবে রেশন বণ্টন চালু করে দিল দুই জেলা। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) এবং বীরভূমের (Birbhum) কয়েকটি এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল সকাল পৌঁছে গেল দুয়ারে রেশন। খুশি গ্রাহকরা।
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির সাতবাঁকি গ্রাম। সবে সকালের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে বস্তা বস্তা খাদ্যসামগ্রী, ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন রেশন দোকানের কর্মী, আধিকারিকরা। ৩৫ টি পরিবারকে এভাবেই তুলে দেওয়া হল খাদ্যসামগ্রী। আর এভাবেই বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে রাজ্যে চালু হয়ে গেল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। ঝাড়গ্রাম জেলার খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে দুয়ারে রেশন চালু হল এদিন। পরবর্তীতে আমরা দেখছি পদ্ধতিগত দিক থেকে এই পরিষেবাকে আরও উন্নত করা যায় কিনা।” অন্যদিকে, এদিনই দুয়ারে রেশনের মহড়া শুরু হয়েছে বীরভূমের সিউড়িতে। সেখানেও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে রেশন সামগ্রী। এখানেও একই পদ্ধতিতে ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পরিবার পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে তাঁর সরকার এবার রেশন পৌঁছে দেবে দুয়ারে। কাউকে রেশন দোকানে গিয়ে, ডিজিটাল কার্ড দেখিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে রেশন তুলতে হবে না। ঘরেই পৌঁছে যাবে চাল, আটা। যেমন কথা, তেমনই কাজ। ভোটে জিতে সরকার গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল প্রকল্প বাস্তবায়নের তৎপরতা। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির করার পরও তার একদিন আগেই জঙ্গলমহল এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হল বাড়ি বাড়ি রেশন বিলি। যতই তা পরীক্ষামূলকভাবে হোক, এভাবে ঘরের সামনে রেশন পেয়ে কার্যত আপ্লুত দরিদ্র মানুষজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.