সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জরিমানা বাড়বে বিপুল হারে। তাই আম জনতার স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের নয়া মোটর যান আইন (সংশোধনী) এখনই পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। এই আপত্তির কথা নবান্নের তরফে দিল্লিকে লিখিতভাবে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: শৌচাগারে ঘাপটি মেরে বসে মূর্তিমান ঝামেলা! চমকে গেলেন গৃহকর্তা ]
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, সংশোধিত মোটর যান আইন ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে বলবৎ হওয়ার কথা। এতে আইন লঙ্ঘনের জরিমানা এক লাফে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। তা নিয়েই রাজ্য সরকারের আপত্তি। ১৯৮৮ সালের পুরনো আইনকে সংশোধন করে আনা হয়েছে নতুন মোটর যান আইন। এর জন্য পুরনো নিয়মে প্রায় ৮৮টি সংশোধন করা হয়েছে। বহুগুণ হয়েছে জরিমানা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে জরিমানা ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করা হয়েছে। কোনও এমারজেন্সি গাড়িকে রাস্তা না ছাড়লে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর আগে দিতে হত ১০০০ টাকা। বিনা হেলমেটে গাড়ি চালালে দিতে হবে ১০০০ টাকা জরিমানা। পাশাপাশি তিনমাসের জন্য লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে। বর্তমানে বিনা হেলমেটে গাড়ি চালালে দিতে হয় মাত্র ১০০ টাকা।
[ আরও পড়ুন: খুদে পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির অভিযোগ, শ্রীরামপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর অভিভাবকদের ]
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালে জরিমানা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে। রাশ ড্রাইভিং করার জন্য জরিমানা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিনা লাইসেন্সে ড্রাইভিং করলে জরিমানা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে। সিট বেল্ট না পড়লে জরিমানা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। নাবালক গাড়ি চালালে তাদের অভিভাবককে দোষী মানা হবে। এর জন্য ২৫০০০ টাকা জরিমানা ও তিন বছরের জন্য জেল হতে পারে। পাশাপাশি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে। লাইসেন্সের বৈধতা শেষ হওয়ার পর ১ বছরের মধ্যে তা রিনিউ করা যেতে পারে। বর্তমানে তা কেবল একমাসের জন্য ছিল
[ আরও পড়ুন: কৃষকের জমি হাতানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতার, প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্থানীয়দের ]
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এখানকার আর্থ—সামাজিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই নয়া সংশোধনী পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নয়া আইনে বলা হয়েছে, গাড়ি পরীক্ষা করে ফিটনেস সার্টিফিকেট (সিএফ) দেবে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাই। এখানেও আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ব্যবসার স্বার্থে সব সংস্থাই গাড়ি বিক্রির লোভে নিজেদের সুবিধামতো সিএফ করিয়ে নেবে। এতে বিপদ আরও বাড়বে। এই দায়িত্ব আরটিও-র হাতেই দেওয়া থাক। তাঁরাই যাতে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেন, সে কথাই বলা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.