টিটুন মল্লিক,বাঁকুড়া: অতি বর্ষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ৩০৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকার কথা ঘোষণা রাজ্য সরকারের। এই অর্থ মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া , পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর-সহ ১৩ টি জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ বাবদ সেই টাকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্য সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
[গরুর সঙ্গে সেলফিতে মিলতে পারে পুরস্কার!]
নবান্ন সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ, উত্তর ২৪ পরগনার ৩৭ কোটি ৩০ লক্ষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২১ কোটি ৯৮ লক্ষ, হাওড়া ১৮ কোটি ৩৩ লক্ষ, হুগলি ২৬ কোটি ৮১ লক্ষ, পূর্ব বর্ধমান ১৪ কোটি ২১ লক্ষ, বীরভূম ১৩ কোটি ৩৮ লক্ষ, বাঁকুড়ার ৮ কোটি ৫৪ লক্ষ, পুরুলিয়ায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ, নবগঠিত ঝাড়গ্রামের জন্য ৫৭ লক্ষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের বরাদ্দ ৮৩ কোটি ৭৯ লক্ষ, পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য ৭১ কোটি ১২ লক্ষ এবং পশ্চিম বর্ধমানের জন্য ১৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ।
[মাথায় ঘোমটা দিয়ে এই পুজোয় বরণের ডালা তোলেন পুরুষরাই]
ফসলের ক্ষতির পরিমান হাতে পাওয়ার পরেই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা কাজ শুরু করেন জোর কদমে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থেকে সেই তথ্য জানা এবং তা সরজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে একটি ফর্ম ছাপানো হয়েছে। ওই ফর্ম আর কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরে পাওয়া যাবে। ফর্ম বিলি এবং ফর্ম ফিলাপের পর তা জমা নেওয়ার জন্য সহায়তা কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য কৃষি দপ্তরের কর্তারা। বাঁকুড়ার কৃষি আধিকারিক আশিস কুমার বেরা জানান, আবেদন নেওয়ার পাশাপাশি সেই আবেদন খতিয়ে দেখার জন্য ফের সার্ভে করতে হবে। সেই কাজে কেপিএস এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে। আশিসবাবু মনে করেন কর্মীর অভাবে কাজে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাধিপতি উত্তরা সিংহর বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কেসিসি নম্বর অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, দাগ জে এল নম্বর-সহ জমির পরিচয়, জমিটি বৃষ্টিনির্ভর না সেচ সেবিত, আবেদনকারী কৃষক ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গাদার, ভাগচাষি না ভূমিহীন। কোন শ্রেণির তা উল্লেখ করতে হবে আবেদনে। সঙ্গে ওই কৃষকের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড দিতে হবে। বাঁকুড়ার জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী জানান, অতিবর্ষণে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ১০টি মৌজা , সোনামুখির ৬৫টি এবং পাত্রসায়রে ২১ টি মৌজার ক্ষতি হয়েছিল। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কৃষকের হাতে ফসলের ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.