Advertisement
Advertisement
বিক্ষোভ

মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের গাড়িতে ইট নিয়ে হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি

শীলতকুচি যাওয়ার পথে সুব্রত বক্সিকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান৷

West Bengal forest minister Binay Krishna Barman's car attacked
Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 24, 2019 3:23 pm
  • Updated:June 24, 2019 7:36 pm

বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের গাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা৷ ইট মেরে ভাঙা হল মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ৷ অভিযোগর তির বিজেপির দিকে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের সিতাই এলাকা৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিলেও, উত্তেজনা কমেনি৷

[ আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় উদ্ধার ৬০টি তাজা বোমা, অশান্তির আশঙ্কায় জোরদার পুলিশি নজরদারি]

Advertisement

সোমবার দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত শীতলকুচিতে৷ জানা গিয়েছে, এদিন দলের তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে উত্তপ্ত শীতলকুচি পরিদর্শনে যান সর্বভারতীয় তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি৷ কিন্তু যাওয়ার পথে জটামারি এলাকায় তাঁদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক৷ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে শাসকদলের নেতাদের দিকে কালো পতাকা দেখায় তারা৷ গাড়ি ঘিরে দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান৷

ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের রোষ সবচেয়ে বেশি গিয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মনের উপর৷ পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, শীতলকুচি না গিয়ে, তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মাথাভাঙা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন সুব্রত বক্সি৷ সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘‘প্রশাসনের সাহায্যে গায়ের জোরে আমি এলাকায় ঢুকতে আসেনি৷ আমি চাই না, এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হোক৷ সেজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলিতভাবে আমাদের শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি পুনরায় এখানে আসব৷’’

সূত্রের খবর, জটমারি থেকে ফেরার সময়ই সিতাই মোড়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে একদল দুষ্কৃতী৷ ইটের আঘাতে ভাঙে মন্ত্রীর গাড়ির সামনের দিকের কাঁচ৷ এক্ষেত্রেও বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার দায় এড়িয়েছেন কোচবিহার বিজেপির সভাপতি মালতি রাভা৷ তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনায় বিজেপির কেউ যুক্ত নেই৷

[ আরও পড়ুন: একটু জল দিন…, পথচারীদের ডাকছে গাছ ]

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জটামারি থেকে মাথাভাঙা ফিরে, সেখানে এবার দলেরই একাংশের রোষের মুখে পড়েন কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কল্যাণী পোদ্দার৷ সুব্রত বক্সির সামনেই তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলের কর্মী-সমর্থকরা৷ গালিগালাজ করা হয় তাঁদের৷ ধস্তাধস্তিও হয়৷ পরিস্থিতি একটাই খারাপ হয়ে যায় যে, সেখান থেকে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন সর্বভারতীয় তৃণমূল সভাপতি৷ সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় জেলার কোর কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি৷

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা৷ মাথাভাঙ্গা, দিনহাটা, সিতাই ও শীতলকুচির বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ ঘর ছাড়া একাধিক তৃণমূল কর্মী৷ সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়েছে শীতলকুচি৷ গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রেখেছিল প্রশাসন৷ সেখানকার পরিস্থিতি দেখতেই এদিন শীতলকুচি যাচ্ছিলেন সুব্রত বক্সি ও তৃণমূল বিধায়করা৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement