Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19

রাজ্যে করোনার নয়া চিকিৎসাবিধি, ব্যবহার হবে ককটেল থেরাপি এবং ওরাল ট্যাবলেট

আর কী কী জানাল স্বাস্থ্যদপ্তর?

West Bengal doctors mull cocktail therapy to treat covid patients | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 1, 2022 3:04 pm
  • Updated:January 1, 2022 3:41 pm  

অভিরূপ দাস: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড চিকিৎসার নয়া স্বাস্থ্যবিধি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। জানানো হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ (হাই রিস্ক) করোনা চিকিৎসায় এবার মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি (ককটেল থেরাপি) চালু করতে হবে। কিন্তু ওমিক্রন চিকিৎসায় এই থেরাপি কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সন্দিহান স্বাস্থ্যকর্তারাই।

  • জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ওরাল ট্যাবলেট বা ওষুধ মলনুপিরাভিরকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর-ও। বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্তরা টানা পাঁচদিন এই ওষুধ খেতে পারবেন। ১২ ঘণ্টা অন্তর অর্থাৎ দিনে দু’টি ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

[আরও পড়ুন: সিরিজের পর এবার সিনেমা, বড়পর্দায় ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ শোনাবেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য]

  • উপসর্গহীন কিংবা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জ্বর এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্যারাসিটামল চালু করতে হবে। দেওয়া হবে ভিটামিন-সি ট্যাবলেট-ও। এ ধরনের রোগীদের যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ চালু করতে হবে।
  • বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিমান মতো বুডিসোনাইট ৮০০ ইনহেলার স্প্রে চালু করতে হবে। ওই ওষুধটিও দিনে দু’বার করে ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।
  • স্বাস্থ্যদপ্তরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মৃদু উপসর্গের রোগীদের জন্য স্টেরয়েড ব্যবহার করা চলবে না।
  • তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার উপসর্গ কী কী, নয়া নির্দেশিকায় তা জানিয়েছে রাজ্য। বলা হয়েছে, প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হবে করোনা আক্রান্তদের। দম নিতে কষ্ট হওয়ায়। ঘরোয়া পরিবেশে সংক্রমিতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর নিচে নেমে যাওয়া। টানা দু-তিন দিন ১০২ ডিগ্রির বেশি জ্বর। বারবার ঘুরে আসবে সেই জ্বর। এরকম হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডি-ডাইমার পরীক্ষা করতে হবে।

[আরও পড়ুন: Jaya Ahsan: রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান]

  • যেসমস্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তরা হোম আইসোলেশন কিংবা সেফ হোমে থাকবেন প্রতি ঘণ্টায় তাঁদের নাড়ি (পালস চেক) দেখতে হবে। দিনে দু’বার অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। পটাশিয়াম-সোডিয়ামের মাত্রা নিরীক্ষণ করতে হবে। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর নিচে নামলেই অক্সিজেন দিতে হবে। 
  • যদি দেখা যায় অক্সিজেন দেওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রনিং পজিশনে শোয়াতে হবে রোগীদের। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement