সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুমাত্র পেটের টানে কাশ্মীরের আপেল বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের পাঁচ বাঙালি শ্রমিক। আর তাতেই ঘটল বিপদ। পরিজনদের খাবারের সংস্থান করতে গিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গির গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে তাঁদের শরীর। কান্নার রোল পড়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। পেটের টানে কাজে গিয়ে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এজেন্সি মারফত ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মঙ্গলবারই কাশ্মীর থেকে মুর্শিদাবাদে আসে দুঃসংবাদ। জানা যায়, পেটের টানে কাজে গিয়ে নিষ্ঠুর হত্যালীলার শিকার বাংলার শ্রমিক। ঠিক সেদিনই কাশ্মীরের ঘটনায় হতবাক বলে টুইটে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করেন তিনি। লেখেন, “গতকাল সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় কাশ্মীরে ৫ নিরীহ শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত। আমরা হতবাক। বর্তমানে কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ হচ্ছে না। গোটা আইনশৃঙ্খলাই কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে। যাতে প্রকৃত সত্য সামনে আসে, তাই এই ঘটনার কড়া তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তাঁদের থেকে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা এডিজি দক্ষিণবঙ্গ শ্রী সঞ্জয় সিংকে নিয়োগ করছি। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন আমাদের সাংসদ ও বিধায়করা। আমাদের সরকার পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করব। নিহত পাঁচ শ্রমিকের পরিজনদের সবরকম সাহায্য করব।”
Our party MPs and MLAs have reached Murshidabad to meet the family members of victims.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 30, 2019
Our government is providing Rs Five lakh each to the victim’s family and render all assistance to them.(3/3)
[আরও পড়ুন: ‘সুস্থ আছি’, কুলগাম কাণ্ডে আহত জাহিরুদ্দিনের ফোনে আশার আলো সাগরদিঘিতে]
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। টুইটে তিনি লেখেন, “কাশ্মীরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। জম্মু-কাশ্মীরের যেভাবে শ্রমিকদের খুন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করি। যারা এই কাজ করেছে তারা কাপুরুষ। এ মৃত্যু ভোলা যাবে না কোনওদিন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করা এই টুইটের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে দাঁড়ানোর আরজিও জানান রাজ্যপাল।
West Bengal Governor, J Dhankhar: West Bengal & Central Government should extend assistance to the victim families because their bread earner is gone. Their deaths will have a cascading & detrimental effect on their families’ daily lives. The loss is unbearable & unforgettable. https://t.co/xiYxOPCNMe
— ANI (@ANI) October 30, 2019
এদিন নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। ঘটনার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। এদিকে, চোখের জলে ভাসছেন নিহতের পরিজনেরা। প্রিয়জনদের কফিনবন্দি দেহ ফেরার অপেক্ষায় গোটা সাগরদিঘি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.