শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: প্রত্যাশামতোই ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bhabanipur)। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও জয়ী তৃণমূল। রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন।
২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই করোনা (Corona Virus) প্রাণ কাড়ে দুই প্রার্থীর। মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায় ওই কেন্দ্রের ভোট। অবশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হয় ওই দুই আসনে। জঙ্গিপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন জাকির হোসেন। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সুজিত দাস। আরএসপির হয়ে লড়াই করেন জানে আলম মিঞা। রবিবার গণনার শুরু থেকেই জঙ্গিপুর আসনে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী জাকির হোসেন। ২৬ রাউন্ড গণনা শেষে ৯২, ৬১৩ ভোটে জয়ী হলেন জাকির হোসেন। জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছেন স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
এই নির্বাচনে সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন আমিরুল ইসলাম। বিজেপির মিলন ঘোষ, সিপিএমের মোদাসসর হোসেন ও কংগ্রেসের জইদুর রহমান। ২৬, ৬১১ ভোটে জয়ী হলেন আমিরুল ইসলাম। ২০১৬ সালের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে ব্যবধান। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। এই আসনে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি।
২০১৬ সালেও সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তবে ব্যবধান ছিল অনেকটা কম। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬৮, ৮৬৯ টি ভোট। সেই সময় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। পেয়েছিলেন ৪৬, ২৩৬ টি ভোট। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৪, ৮৩৬। বিজেপি পেয়েছিল ২৩, ২৪০ টি ভোট। ২০১৬ সালে সামশেরগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪৮, ৩৮১ ভোট। সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন সিপিএম ৪৬, ৬০১ ভোট। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১৭৮০। সেই ব্যবধান এবার বেড়েছে কয়েকগুণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.