রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: এক পরিচিতকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার কুকীর্তি দেখা ফেলেছিলেন তারই এক প্রতিবেশী। প্রথমে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা, তাতে কাজ না হওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীকে খুনের চেষ্টা চলল। রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হল। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ফালাকাটার সাতমাইল এলাকায় প্রভাবশালী হিসাবে পরিচিত পরিমল বর্মন। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির টিকিটে প্রার্থীও হয়েছিল পরিমল। ভোটে জিততে না পারলেও দাপট এতটুকু কমেনি। সেই জোরেই মাস ছয়েক আগে এক দুষ্কর্মে জড়ায় পরিমল। এমনই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। ওই এলাকার বাসিন্দা দুলাল বর্মনের বউদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পরিমলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ছিলেন দুলাল। অভিযোগ, নিজের কুকীর্তি ঢাকতে দুলালকে অর্থের টোপ দিয়েছিল পরিমল। আত্মীয়ের সঙ্গে এই ঘৃণ্য আচরণের ঘটনায় মাথা নোয়াননি দুলাল। পুলিশে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাঁর ওপর চাপ আরও বাড়তে থাকে। থানাতে অভিযোগ করা হলেও, পুলিশ কার্যত চোখ বন্ধ করেছিল বলে অভিযোগ দুলালের। গত শুক্রবার রাতে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানবাড়ি যাচ্ছিলেন দুলাল। সেই সময় তাঁর রাস্তা আটকে চড়াও হয় পরিমল বর্মন। পরিবারের সামনেই দুলালকে রাম দা দিয়ে পরিমল কোপাতে থাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে পরিমল গা ঢাকা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে দুলালকে ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুলালের মাথায় ২৮টি সেলাই পড়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে দুলাল জানিয়েছেন এবারও পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবুও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সংযোজন অভিযুক্ত পরিমল বর্মন এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁর টিকি পাচ্ছে না। অভিযুক্ত পরিমলের সঙ্গে যোগাযাগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। জেলার পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ছবি: শীলা দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.