সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামেদের ১৪টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে চলছে ধর্মঘট। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ধর্মঘটীরা। তার ফলে ব্যাহত রেল চলাচল। যদিও ধর্মঘট রুখতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন।
বিকেল ৫.১৫: সোমেন মিত্রর দাবি, ‘যোগীর থেকেও নৃশংস মমতার পুলিশ।’
বিকেল ৫.১৩: মালদহের জেলা পুলিশ সুপারের দাবি, সুজাপুরে ধর্মঘট সমর্থকদের উপর চড়াও হওয়ায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে।
বিকেল ৪.১৫: “মমতার প্ররোচনায় ধর্মঘটে অশান্তি”, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের। সুজাপুরে গাড়ি ভাঙচুরের প্রসঙ্গ তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘মমতার পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’
দুপুর ২.৩০: যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম-কংগ্রেস। সিটু নেতৃত্বের দাবি, ২০১১ সালের পর এমন সাফল্য আসেনি। মমতার বক্তব্যকে আর্তনাদ বলে মনে হচ্ছে। উনি ভাবতেই পারেননি ধর্মঘট এত সর্বাত্মক হবে। সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সুজাপুরে যা হয়েছে তার দায় কেবলমাত্র যারা ভাঙচুর করেছে তাদের। এই ঘটনার দায় আমরা নেব না। রেললাইনে বোমা রাখা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এইভাবে যারা হরতালকে কালিমালিপ্ত করেছে তাদের দায় আমাদের নয়।”
দুপুর ১.৪৪: ধর্মঘটের সমর্থনে আলিপুরদুয়ারের বি এস রোডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আলিপুরদুয়ারের যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু দেবনাথ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
দুপুর ১.০৪: ধর্মঘটীদের আচরণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর থেকে তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডামি চলছে। ট্রেনের নীচে বোমা রাখা গুন্ডাগিরি। মারপিটে বিশ্বাস করি না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” বামেদের কটাক্ষ করে এদিন তিনি আরও বলেন, “এই করতে করতে পার্টিটা সাইন বোর্ডে এসে ঠেকেছে। “
বেলা ১২.৩০: মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশ এবং ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে এক পুলিশকর্মীর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। করা হয় বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। সূত্রের খবর, শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়।
বেলা ১২.১০: রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর বামপন্থী পড়ুয়াদের। গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভের জেরে আংশিকভাবে ব্যাহত পঠনপাঠন।
সকাল ১১.৪০: শিলিগুড়িতে জোর করে রাস্তা অবরোধ করায় ১০ জন এসইউসিআই কর্মী-সমর্থককে আটক করল পুলিশ।
সকাল ১১.৪০: জলপাইগুড়ি আদালতের বিচারকদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা ধর্মঘটীদের।
সকাল ১১.৩০: দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে তৃণমূলের সঙ্গে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের ধস্তাধস্তি।
সকাল ১১.২৬: কোচবিহারে জোর করে স্টেট ব্যাংক বন্ধের চেষ্টা ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। তাদের গ্রেপ্তার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। খুলল স্টেট ব্যাংক।
সকাল ১১.২৫: এন্টালিতে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে বিমান বসু।
সকাল ১১.২১: মহেশতলার নুঙ্গি ও আকড়া স্টেশনের মাঝে বাটা ব্রিজের তলায় বোমা উদ্ধার। ঘটনাস্থলে রেলপুলিশ এবং মহেশতলা থানার পুলিশ।
সকাল ১১.১৪: বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের সামনে জোর করে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় অভিভাবকরা এবং বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি।এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা কয়েকজন শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন। সেই সময় কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবাদ করেন। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এসএফআই-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীকে। এসএফআই-এর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন হামলা করেছে। তৃণমূলের পালটা দাবি, অভিভাবকরাই প্রতিরোধ করেছেন।
সকাল ১১.০৯: নদিয়ার তেহট্টে পথ অবরোধ ধর্মঘটীদের। ব্যাহত যান চলাচল।
সকাল ১১.০২: বারাসত স্টেশনের কারশেড থেকে দু’টি বোমা উদ্ধার।
সকাল ১০.৫৫: বড়বাজারে জোর করে বন্ধ করা হল দোকানপাট।
সকাল ১০.৫০: শ্যামনগরে রেল অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ পুলিশের।
সকাল ১০.৪৫: তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেহালার বকুলতলা।
সকাল ১০.৪০: ধর্মঘট ঘিরে যাদবপুরে ধুন্ধুমার। পুলিশের গাড়ি এবং বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান ধর্মঘট সমর্থকরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। মারমুখী ধর্মঘটীদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। আটক করা হয় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী-সহ বেশ কয়েকজনকে।
সকাল ১০.৩৮: কোচবিহারের কাছারি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ধর্মঘট সমর্থকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে রিভলবার বের করলেন এস আই।
সকাল ১০.৩৫: ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাট স্টেশনে ট্রেন অবরোধ।
সকাল ১০.৩৩: বনধ ব্যর্থ করতে পথে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারে মিছিল দলীয় কর্মী-সমর্থকদের।
সকাল ১০.১৬: পাঁচলায় মুম্বই রোড অবরোধ ধর্মঘটীদের।
সকাল ১০.১০: ধর্মঘট সম্পূর্ণরূপে সফল, দাবি শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, “ধর্মঘট সমর্থনকারীরাই আসল দেশপ্রেমিক।”
সকাল ১০.০৭: দুর্গাপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ ধর্মঘট সমর্থকদের।
সকাল ১০.০২: সেন্টাল অ্যাভিনিউ ও গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের।
সকাল ৯.৫১: দীর্ঘক্ষণ পর উলুবেড়িয়া স্টেশনে উঠল রেল অবরোধ।
সকাল ৯.৪০: ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। নাগরকাটার ক্যারন স্টেশনে বিক্ষোভ ধর্মঘট সমর্থকদের। একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ট্রেন। সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা।
সকাল ৯.৩৫: ধর্মঘটে প্রায় স্তব্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন সমর্থনকারীরা।
সকাল ৯.৩৪: বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে শ্রীরামপুর স্টেশনে রেল অবরোধ। অবরোধকারীদের গলায় রয়েছে পিঁয়াজ, আলুর মালা।
সকাল ৯.২৭: স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট হচ্ছে, দাবি সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “মানুষের সাড়া মিলেছে।”
সকাল ৯.২৬: এগরা-কাঁথি রুটে বাস চলাচলে বাধা। পুলিশ-ধর্মঘট সমর্থকদের সঙ্গে বচসা।
সকাল ৯.২০: মালদহের রথবাড়িতে বাস থেকে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে ভাঙচুর ধর্মঘট সমর্থনকারীদের।
সকাল ৯.১৭: শিয়ালদহ-বনগাঁ রুটে বন্ধ ট্রেন চলাচল।
সকাল ৯.১৫: কোচবিহারের নিউ বাসস্ট্যান্ডে বাস চলাচলে বাধা ধর্মঘট সমর্থকদের। বাস ফেলে পালালেন চালক।
সকাল ৯.১০: বাগনানের মানকুর রোডের গদি এলাকায় পথ অবরোধ।
সকাল ৮.৫৯: ভাতার বাজারে লরি ভাঙচুর।মারধর করা হল চালককেও।
সকাল ৮. ৫৭: ঘাটালেও বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল ধর্মঘট সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সকাল ৮.৫৫: রায়গঞ্জের দেহশ্রী মোড়ে বেসরকারি বাসে হামলা ধর্মঘট সমর্থকদের। বাস লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় একের পর এক ইট।
সকাল ৮.৫২: শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখার ধামুয়া ও সংগ্রামপুর স্টেশনে রেলের ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেয় ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। ফলে সকালের দিকে বেশ কিছুক্ষণ এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি শিয়ালদহ-বজবজ শাখার নুঙ্গিতে ট্রেন অবরোধ ধর্মঘট সমর্থকদের।
সকাল ৮.৫০: দমদম মেট্রো স্টেশনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা ধর্মঘট সমর্থকদের। তবে তাতে বাধা দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান ধর্মঘটীরা।
সকাল ৮.৪৫: মধ্যমগ্রামে গাড়ির চাকা পাংচার করে দেওয়ার অভিযোগ ধর্মঘট সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পালটা ময়দানে নামে তৃণমূল। গাড়ি চাকা পাংচারে বাধা দেয়। তৃণমূল এবং সিপিএম কর্মী সমর্থকরা প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সকাল ৮.৪০: বারাসত-হৃদয়পুরে স্টেশনের মাঝে রেললাইনের উপর বোমা রাখার অভিযোগ উঠল ধর্মঘট সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পরে রেলপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’টি কৌটো বোমা উদ্ধার করে।
সকাল ৮টা ৩৫: ডায়মন্ড হারবারে মিছিল ধর্মঘট সমর্থকদের।
সকাল ৮টা ৩০: বীরহাটা ও পারবীরহাটা এলাকায় বাস-সহ অন্যান্য যানবাহনে মিছিল করে এসে হামলা করে ধর্মঘটীরা। কয়েকটি বাস, গাড়ি ও টোটো ভাঙচুর করা হয়। টোটো থেকে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষজন। বনধ সমর্থকদের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্কুলবাসগুলিও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে বাজারহাট, দোকান খোলা। জিটি রোডে ঢলদিঘি মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প খোলা থাকায় ভাঙচুর চালায় ধর্মঘট সমর্থকরা।
সকাল ৮টা ৫: গোসাবায় বন্ধ ফেরি চলাচল।
সকাল ৮টা: দমদমে স্টেশনে বন্ধ করা হল টিকিট কাউন্টার।
সকাল ৭.৪৫টা: যাদবপুর স্টেশনে লাইনে নেমে বিক্ষোভ ধর্মঘট সমর্থকদের। তার ফলে সকাল থেকেই ব্যাহত রেল চলাচল।
সকাল ৭.৩০টা: চুঁচুড়া, হুগলি স্টেশনের মাঝে পুলিশ-ধর্মঘট সমর্থনকারীদের ধস্তাধস্তি। হাওড়া ডিভিশনের হিন্দমোটরেও রেল অবরোধ।
সকাল ৭.২৫: বনগাঁ-চাকদহ রুটের বাস চলাচল বন্ধ। বনগাঁ থেকে বাকি সমস্ত রুটের বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। পেট্রাপোলমুখী ট্রাকগুলির চলাচল স্বাভাবিক।
সকাল ৭টা: বারাসতের চাঁপাডালি মোড় অবরোধ ধর্মঘটীদের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.