সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উঠতে-বসতে গালি দিচ্ছেন মমতা! গঙ্গারামপুরের সভা থেকে রীতিমতো ফিরিস্তি তুলে ধরে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দাবি করলেন, ভোটে জেতার আশায় ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলেছেন মমতা। গঙ্গারামপুরে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, “আজকাল সকাল সন্ধ্যা মোদিকে গালি না দিলে দিদির দিন শুরুও হয় না, শেষও হয় না। দিদি এই ভোটে এত গালিগালাজ করেছেন হেরে যাওয়ার ভয়ে।”
শুধু অভিযোগ করা নয়, মমতার দেওয়া গালিগালাজের রীতিমতো ফিরিস্তি দিয়েছেন মোদি। গঙ্গারামপুরে প্রধানমন্ত্রীর তোপ,”২৪ মার্চ দিদি বললেন, মোদির চেহারা দেখতে চাই না। তারপর লুটেরা, দাঙ্গাবাজ, দুর্যোধন, দুঃশাসন, না জানি কী কী বলেছেন। ২৫ মার্চ যা যা বলেছেন, সেটা বলার আগে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি এই শব্দগুলি উচ্চারণ করতে বাধ্য হচ্ছি। ২৫ মার্চ দিদি বলছেন, তুমি খুনিদের রাজা, খুনিদের জমিদার, সব টাকা লুটে নিয়েছে। দেশে নাকি শুধু মোদির দাঁড়ি বাড়ছে।” এরপর ৪ এপ্রিল, ১২ এপ্রিল, ১৩ এপ্রিল আর কী কী বলে তৃণমূলনেত্রী (Mamata Banerjee) তাঁকে আক্রমণ করেছেন, এসবেরই ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির অভিযোগ, মমতা তাঁকে লুটতরাজ, দাঙ্গাবাজ এবং আরও এমন কিছু কিছু গালিগালাজ করেছেন, যা বাংলার সংস্কৃতির অপমান। গালিগালাজের লম্বা ফিরিস্তি তুলে ধরার পর প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, “দিদির গালিতে আমার কোনও সমস্যা নেই। দিদি যত খুশি গালি দেওয়ার দিন, যত খুশি বলুন। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতিকে ভুলবেন না। বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে গোটা বিশ্বে আমরা গর্ববোধ করি। দিদি, আপনি শুধু মোদিকে অপমান করেননি। বাংলার সংস্কৃতির অপমান করেছেন।”
নিজের ‘দিদি ও দিদি’ মন্তব্য নিয়েও এদিন সাফাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, “আমি মমতাকে নিয়ে কোনও কটু শব্দ ব্যবহার করিনি দিদি ছাড়া। খুব বেশি হলে, দিদি শব্দটা দু’বার বলি। তাতেও এত রাগ দিদির।” বস্তুত, এদিনের সভা থেকেও একাধিকবার ‘দিদি ও দিদি’ বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, “বাংলায় ভোটে এতদিন হত ছাপ্পাবাজি। ভয় দেখিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। পঞ্চম দফার ভোটদানের হার খুব ভাল। এবার বাংলার মানুষ আনন্দে ভোট দিচ্ছেন। বাংলায় ছাপ্পা বন্ধ হয়েছে। কয়েক দশক পর নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন মানুষ। ৪ দফায় মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছে বিজেপি। এবার দিদির বিদায় নিশ্চিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.