শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গ্রামে অনেক কাজ বাকি। কোনও উন্নয়ন হয়নি। রুটমার্চ করতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই অবাক করা দাবি জানালেন গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে কুলটি লছমনপুরে। আসানসোল পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে লছমনপুর মাজি পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করছিল, তখন জওয়ানরা গ্রামবাসীদের প্রশ্ন করেন, “ভয়ের কোনও কারণ নেই তো?” উত্তরে গ্রামবাসীরা বলেন, “ভয়ের কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু গ্রামের অনেক কাজ বাকি আছে সেগুলো দ্রুত করে দিন।” এই প্রশ্ন শুনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘ঠিক আছে’ বলে বেরিয়ে যান জওয়ানরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিধায়ক কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কেন এই দাবি জানালেন গ্রামবাসীরা?
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি থেকে কটাক্ষ করা হয়, ১০ বছরে উন্নয়ন যদি ঠিকঠাক হতো তবে কি আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো? কুলটিতে বিজেপির তিন মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দাস মণ্ডল প্রশ্ন তুলে বলেন, “কোথায় গেল দুয়ারে সরকার? কোথায় গেল পাড়ায় পাড়ায় সমাধান? এ রাজ্যের এমন অবস্থা যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শেষে বলতে হচ্ছে উন্নয়নের কথা। অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে স্থানীয় নেতা তথা যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ”সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রের প্রতিনিধি। তিনি কোনও উন্নয়নই করেননি। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই গ্রামবাসীরা সেই কথা তুলে ধরেছেন। যাতে কেন্দ্র সরকার পর্যন্ত এই বার্তা পৌঁছে যায়।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা। তা মানছেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও। কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে তিনদিনের সফরে এসে। সেসময় তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কি ভোটের মাসখানেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে বাংলায়? জবাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাজ্যে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি, রুট মার্চ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.