দীপংকর মণ্ডল: ‘আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কোনও নেতার কাছে দায়বদ্ধ নই। কাউকে কৈফিয়ত দেব না।’- বিধানসভায় লোকায়ুক্ত ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গেল লোকায়ুক্ত বিল। ভোটাভুটিতে অবশ্য অংশ নেননি দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করার পর ১০ দিনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করা হবে।
[ শহরের রাজপথে শীঘ্রই দেখা যাবে দোতলা বাস, ইঙ্গিত পরিবহণ মন্ত্রীর]
দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রে লোকপাল ও রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একযোগে লোকায়ুক্ত বিলের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি বিধায়করা। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিলে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর মতো মুখ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতার বাইরে রাখতে চাইছে সরকার। বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যদি সততার প্রতীক হন, তাহলে লোকায়ুক্তে ভয় কীসের?’ অধিবেশনে তুমুল হইহট্টগোলের মধ্যে লোকায়ুক্ত বিল পেশ করে সরকার। বিরোধী বেঞ্চ থেকে বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আলোচনা দাবি ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় রাজি ছিল না সরকার। শেষপর্যন্ত ভোটাভুটি হয়। শাসকদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় থাকা অনায়াসেই বিধানসভার পাশ হয়ে যায় লোকায়ুক্ত বিল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করার দশদিনে মধ্যেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রাজ্যের লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করা হবে।
এদিন বিধানসভায় বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, ‘আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কোনও নেতার কাছে দায়বদ্ধ নই। কাউকে কৈফিয়ত দেব না।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিধায়করাও লোকায়ুক্তের আওতায় থাকবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের জন্য অনুমতি নিতে হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়ার যে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা, তা ঠিক নয়। লোকায়ুক্ত ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের পূর্বতন বাম সরকারকেও আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন যাঁরা বড় কথা বলছেন, তাঁরা কেন লোকায়ুক্ত চালু করেননি? কেন্দ্রই বা কেন এখনও লোকপাল চালু করতে পারল না?’ এই নিয়ে দিল্লিতেও রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। কিন্তু, এখনও সংসদে সংশোধিত বিল পেশ করেনি মোদি সরকার।
[দলেরই নেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.