দেবব্রত মণ্ডল, ভাঙড়: প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর টিকিট না পাওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ‘দিদি’র বিশ্বস্ত সৈনিক আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। কানাঘুষো শুরু হয়েছিল দল ছাড়বেন তিনি। আচরণে তেমনটাই বুঝিয়েছিলেন আরাবুল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জল্পনা ওড়ালেন তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা। বরং শোনা যাচ্ছে, রেজাউলের হয়ে প্রচারেও নামতে পারেন তিনি।
মাস চারেক ধরে তৃণমূলের (TMC) অনেক নেতাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অনেকে দল ছেড়েছেন। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর ক্ষোভ কয়েকগুণ বাড়ে দলের নেতাদের। শুক্রবার ভাঙড়ের প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিমের নাম ঘোষণার পরই কার্যত আগুন জ্বলতে শুরু করে আরাবুলের গড়ে। পোলেরহাট এলাকায় নিজের পার্টি অফিসই ভাঙচুর করেন আরাবুল। রাস্তার সামনে অবরোধ করেন তাঁর অনুগামীরা। ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরাবুল লেখেন, “দলে আমার প্রয়োজন ফুরলো।” এরপর নিজের সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন, আগামীতে কী করবেন, আদৌ দলে থাকবেন কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। শোনা যাচ্ছে, আরাবুলের ক্ষোভের বিষয়টি জানার পরই মানভঞ্জনের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতায় এসেওছিলেন আরাবুল। যদিও সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। সাক্ষাতের কথা স্বীকারও করেননি তিনি।
তবে ক্ষোভ-অভিমান দূরে সরিয়ে আপাতত দলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরাবুল, এমনটাই তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর। তবে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই মানভঞ্জন করলেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতার? উত্তর অজানা। এবিষয়ে আরাবুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, আরাবুলের মতোই শুক্রবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালী গুহ, নলহাটির বিধায়ক-সহ অন্যান্যরা। প্রকাশ্যে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সোনালী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.