সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশে দাঁড়িয়ে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। বললেন, “ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলব না।” ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হয়ে পথে নামতেও দেখা যাবে না তাঁকে। পালটা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
গত নভেম্বর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। দলের প্রতীক ছাড়া সভা,মিছিল করছিলেন তিনি। যা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁকে। বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু, এমনই কানাঘুষো শুরু হয়। অবশেষে জল্পনা সত্যি করে ডিসেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। এরপরই গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রথমে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে সরানো হয় কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। ভাইয়ের প্রতি দলের এই আচরণের প্রতিবাদ করেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যদিও দিদির প্রতি আস্থা রয়েছে বলেই বরাবর জানিয়েছেন তিনি। এরপর জেলা সভাপতি ও দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় শিশির অধিকারীকে। যা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল অধিকারীদের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না তৃণমূল।
শিশির, সৌমেন্দুর দায়িত্ব কমানোর পাশাপাশি অধিকারী পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। যার বিরোধিতায় আগেও সরব হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। বুধবার ফের শুভেন্দুর পক্ষে সওয়াল করে দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। ভোটের প্রচারে তাঁকে দেখা যাবে কি না, জিজ্ঞেস করতেই শিশিরবাবু বলেন, “সম্প্রতি চোখের অপারেশন হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছি। তবে ছেলেরা বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করেছে।” সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, ছেলে অর্থাৎ শুভেন্দুকে আক্রমণ করা হলে ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাম-কংগ্রেসও এমন আক্রমণ করেনি যা তৃণমূল করছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের প্রচারে অধিকারীদের অনুপস্থিতি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবিষয়ে শিশিরবাবুকে কটাক্ষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিশিরদা প্রবীণ মানুষ। তাঁর শরীর কোথায় হৃদয় কোথায় মানুষ জানেন। উনি তো পা বাড়িয়েই আছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.