নিরুফা খাতুন: ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। দক্ষিণেও ঢুকে পড়েছে বর্ষা। জেলায়-জেলায় বাড়ছে বৃষ্টি। চলছে বজ্রপাতও। আর এই বজ্রপাতে বুধবার দুই জেলায় মোট ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর এই লাগাতার বৃষ্টির ফলে নামবে রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ। স্বস্তি পাবেন রাজ্যবাসী।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে অবস্থান করছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিকিমের বেশিরভাগ অংশ এবং গোটা উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্ষা প্রবেশের পর ভারী বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ক্রমশ নিচের দিকে নামবে বৃষ্টির প্রভাব। হাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়ু। বাড়বে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। তবে উত্তরবঙ্গের মতো প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া-এই চার জেলাতে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলাতে চরম বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দার্জিলিং কালিম্পং-সহ উপরের পাঁচ জেলায়ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ফলে তিস্তা, তোর্সা জলঢাকা-সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বেশকিছুটা বেড়েছে। বিপদসীমা ছুঁয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা বাড়ছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে উত্তরবঙ্গে।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলাতে তাপমাত্রা অন্তত চার-পাঁচ ডিগ্রি কমতে পারে বলে খবর। আগামী তিনদিনে কলকাতার তাপমাত্রার পারদ অন্তত ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গিয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘ থাকায় রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.