Advertisement
Advertisement
মদ

মাস্ক না পরলে মিলবে না মদ, দোকান খুললেও রাজ্যজুড়ে কড়া নিয়ম মালিকদের

রেড ও অরেঞ্জ জোনে খুলবে দোকান।

Wear mask to buy liquor, shops to open in west bengal from monday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 4, 2020 10:03 am
  • Updated:May 4, 2020 10:03 am  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: চারদিকে সাজো সাজো রব। ৪২ দিন পর রাজ্যে খুলছে মদের দোকান। তাই দোকান খুললেই সুরপ্রেমীরা ভিড় সেখানে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও গন্ডগোল হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকান। তাই ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই সতর্ক দোকানের মালিকরা। পুজো মণ্ডপের মতো দোকানের সামনে লাইনের জন্য ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। আর সেই ব্যারিকেডের উপর তাঁরা পোস্টার দিয়েছেন, ‘ নো মাস্ক, নো লিকার।’

সোমবার থেকে গ্রিন জোনের পাশাপাশি রেড ও অরেঞ্জ জোনেও খুলছে মদের দোকান। তবে গ্রিন জোনে সকাল ১০ টা থেকে দোকান খোলা থাকলেও রেড ও অরেঞ্জ জোন গুলিতে সময়সীমা সম্ভবত বেলা ৩ টে থেকে সন্ধ্যে ৬ টা। এছাড়া কনটেইনমেন্ট জোনের মদের দোকানের বিষয়ে জানা যাবে আজকের সাংবাদিক বৈঠকে। তবে মদের দোকান খোলা হলেও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ- প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে অশান্তি হলেই বন্ধ করা হবে দোকান। পাশাপাশি,জেলাগুলির পুলিশ ও প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “ভিড় সামলানোর দায়িত্ব দোকানের মালিকদের। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে বা সরকারি নিয়ম বিধি লঙ্ঘন হলে, যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তাই রবিবার রাতে থেকেই ভিড় সামলানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মদের দোকানগুলো। মদ বিক্রেতাদের সংগঠন ফরেন লিকার অ্যসোসিয়েশনের তরফে খবর, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকারি নিয়মবিধি না মানলে কাউকে মদ দেওয়া হবে না। একজনকে একটার বেশি বোতল দেয়া হবে না। মদ নিতে গেলে মাস্ক পরে দোকানে আসতে হবে। মধ্যমগ্রামের ব্যবসায়ী সোমনাথ পাল বলেন, আমরা পরিষেবা দেওয়ার জন্য দোকান খুলব। কোনও দোকানে যাতে সমস্যা না দেখা দেয় তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং আমাদের সাহায্য করতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহিলাকে ধর্ষণের পর নলি কেটে খুন, চাঞ্চল্য হাবড়ায়]

তবে সোমবার থেকে মদের দোকান খোলা নিয়ে ক্ষোভও দানা বাঁধতে শুরু করেছে মানুষের মধ্যে। এদিন বারাসতের টালিখোলায় একটি মদের দোকানের সামনেও ব্যারিকেড বাধার সময় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, দোকান খুললেই বিশৃঙ্খলা হবে। বহু মানুষের ভিড় জমবে। তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবে মদের দোকানের মালিক ভিড় না জমতে দেওয়ার আশ্বাস দিলে, বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয়রা।

[আরও পড়ুন: রেশন কার্ড আটকে রেখে খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ! রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement