সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াকে পিছনে ফেলে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন। দীর্ঘ পরিশ্রম যে সাফল্য এনে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কীভাবে এই সাফল্য? নজরকাড়া এই সাফল্যের নেপথ্যেই বা কে? রেজাল্ট ঘোষণার পরই জানাল চন্দ্রচূড়। ছকে বাধা পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকের অবদান যে অনেকটাই তাও জানাল এই পড়ুয়া। চন্দ্রচূড়ের কথায়, “স্কুলে অনেক ছাত্র। ফলে শিক্ষকদের পক্ষে একজন ছাত্রকে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব নয়।” দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয় গুরু জানাল, গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সে।
কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। মাধ্যমিকে ফলপ্রকাশের পরই সাফল্যের চাবিকাঠি কী তা জানাল চন্দ্রচূড়। ছাত্রের কথায়, গৃহশিক্ষকেরা তাকে অত্যন্ত সহযোগিতা করেছেন। যার ফলে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে পেরেছে সে। তবে স্কুলের ভূমিকা? চন্দ্রচূড়ের কথায়, স্কুলে অনেক ছাত্র। ফলে শিক্ষকদের পক্ষে একজন ছাত্রকে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে গৃহশিক্ষকের ভূমিকা তাঁর কাছে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, ব্রেক লার্নিংয়ের পরামর্শ দিল চন্দ্রচূড়। ছাত্রের কথায়, “এক টানা পড়ার থেকে মাঝে বিরতি নিয়ে পড়লে তাতে কাজ বেশি হয়।” মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয় গুরু জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কোনও রুটিন ছিল না। তবে রাত অবধি পড়ত, কারণ সে সকালে উঠতে পারে না। নিজের যখন মনে হত যে কোনও বিষয় আরও পড়া দরকার, তখন সেটার উপর বাড়তি নজর দিত। সাম্যপ্রিয়র পছন্দের বিষয় ফিজিক্স।
মোটের উপর কৃতীরা সকলেই পরিশ্রম করেছে, যার ফল মিলেছে। তবে প্রথমস্থানাধিকারী চন্দ্রচূড়ের গৃহশিক্ষক ‘ভরসা’ প্রশ্ন তুলে দিল স্কুলের ভূমিকা নিয়ে। সমস্ত স্কুলেই পড়ুয়াদের অনুপাতেই থাকেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়েও স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষে যদি পড়ুয়াদের সময় দেওয়া সমস্যার হয়, তা উদ্বেগজনক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.