সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল গোঘাট আসনে নির্বাচন। তার আগে বুধবার গোঘাটে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আবারও প্রতিশ্রুতি দিলেন কর্মসংস্থানের। অনুরোধ করলেন, একটি ভোটও যেন বিজেপিকে দেওয়া না হয়।
পায়ের চোট এখনও সারেনি। প্লাস্টার করা অবস্থাতেই জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। হুইলচেয়ারে করেই রোড-শোও করছেন। শারীরিক অসুস্থতাকে পরোয়া না করেই বুধবার নন্দীগ্রাম থেকে হুগলির (Hooghly) গোঘাটে যান মমতা। সেখানে জনসভা থেকে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। বলেন, “বিজেপি বাংলাকে ঘৃণা করে। সেই কারণেই আগে বহুবার পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের আবেদন করা হলেও কেন্দ্রের তরফে তাতে সম্মতি দেওয়া হয়নি।” হাথরাস প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, “যাই হয়ে যাক, বাংলাকে হাথরাস হতে দেব না। একটা মেয়ের গায়েও হাত দিতে দেব না।” এরপরই তৃণমূল নেত্রী আমজনতাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “চাকরি দেব, কর্মসংস্থান হবে, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী সব পাবেন, শুধু অনুরোধ করব কেউ বিজেপিকে ভোট দেবেন না।”
গোঘাটের সভা থেকে এদিন অধিকারীদের তুলোধোনা করেন তিনি। নাম না করে সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন। বলেন, “খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি, দুধ, কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি।” সঙ্গে সঙ্গে প্রথম মন্তব্য প্রত্যাহার করে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, “তুমিও লড়বে আর আমিও লড়ব। আমার কর্মীদের উপর হামলা কেন? আমার কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। আমার গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে।” এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “শুধু ভোট বলে চেপে যাচ্ছি, নাহলে আমিও দেখে নিতাম, কে কত বড় নেতা। কার কত ক্ষমতা।”