শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কদর বাড়ল জলপাইগুড়িতে। রাতারাতি বদলে গেল পোশাক, এমনকী পরিচয়ও। কালো পোশাক গায়ে চাপিয়ে সিভিক কমব্যাট হয়ে গিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বামফ্রন্টের জলপাইগুড়ি জেলা আহ্বায়ক সলিল আচার্যের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা দিতে রাজ্য সরকার অপারগ। তাই আদালত ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের খোলনলচে পালটে ফেলেছে পুলিশ।
[বউদি তৃণমূলে আর ননদ বিজেপির প্রার্থী, পারিবারিক দ্বৈরথে দাদা-বোন]
আদালতে নির্দেশে ফের নতুন করে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নয়া নির্ঘন্ট অনুয়ায়ী, ১৪ মে একদফাতেই রাজ্যে সবকটি পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ। বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু, কমিশনের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নয় বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। আগামী ৪ মে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি। কিন্তু, আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা না করে কী তলে তলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ? তৃণমূল জমানায় রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য পুলিশবাহিনীকে সিভিক ভলান্টিয়ার নামে একটি পদ তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পদে এখন চাকরি করছেন বহু বেকার ছেলে-মেয়ে। তবে পুলিশকর্মীদের তুলনায় তাঁদের বেতন অনেক কম। সরকারি কর্মীদের মতো সুযোগ-সুবিধাও পান না তাঁরা। তা কী কাজ করেন এই সিভিক ভলান্টিয়াররা? মূলত থানায় বিভিন্ন কাজে পুলিশকর্মীদের সাহায্য করা ও রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় সবুজ উর্দিধারীদের। কিন্তু, দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত ভোটে নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই রাতারাতি সিভিক ভলান্টিয়াদের খোলনলচে পালটে ফেলেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। সবুজ উর্দি ছেড়ে কালো উর্দি গায়ে চাপিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। বস্তুত, তাঁরা আর সিভিক ভলান্টিয়ারও নন, সিভিক কমব্যাট।
[‘মুকুল গদ্দার রায়, এবার বাগদায় এলে বেঁধে রাখবেন’, তোপ জ্যোতিপ্রিয়র]
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় কর্মরত বাছাই করা ২৪ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে কমব্যাট ফোর্স তৈরি করেছে পুলিশ। ফোর্সের ইউনিফর্মের রং কালো। নয়া এই কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা হলেন সিভিক কমব্যাট। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের নির্দেশেই যে এই বাহিনী তৈরি করা হয়েছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন কোতয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার। সূত্রের খবর, বদলে গিয়েছে পোশাক। ঢেকেছে মুখ। তাই একদা সিভিক ভলান্টিয়ারদের এখন আর চট করে চেনাও যাচ্ছে না। তাই এই সিভিক কমব্যাটদের দিয়ে টহলদারি কাজ করানোও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সিভিক ভলান্টিয়ারের খোলনলচে পালটে ফেলার সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বামফ্রন্টের জলপাইগুড়ি জেলা সলিল আচার্যের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা দিতে রাজ্য সরকার অপারগ। তাই আদালত ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের খোলনলচে পালটে ফেলেছে পুলিশ।
ছবি: সুবীর এস
[বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদেরও ভোটারের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.