দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে রুটি রুজি ঘিরে অনিশ্চয়তা। বিপাকে পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থীর স্বামী। তাঁকে ইউনিয়নের নেতারা অটো চালাতে দিচ্ছেন না অভিযোগ। বিরোধী দলের মহিলা প্রার্থীর স্বামীর দাবি, তিনি যে রুটে অটো চালান, সেই রুটের ইউনিয়নটি তৃণমূল পরিচালিত। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তাই অটো চালাতে দিচ্ছেন না ইউনিয়নের নেতারা। যদিও শাসকদলের নেতা ও কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ঘোষের দাবি, ওই অটোচালক যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন ও বেশি ভাড়া নিতেন। তাই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে ইউনিয়ন। এই ঘটনার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
[উসকানি দিতে পারে বিজেপি, গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি]
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে শাসকদলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। পরবর্তীকালে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এখন মনোনয়ন পেশ বা প্রত্যাহারের আর সুযোগ নেই। কিন্তু, রাজ্যের সর্বত্রই হুমকির মুখে পড়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। কোথাও আবার প্রার্থীকে না পেয়ে পরিবারের লোকেদের মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর, এমনকী, ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। তবে হুগলির ডানকুনিতে অবশ্য এসব কিছুই হয়নি। এখানে সিপিএমের এক মহিলা প্রার্থীর পরিবারকে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা ভাতে মারার ফন্দি এঁটেছেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার প্রার্থীর অটোচালক স্বামীর দাবি, তাঁকে অটো চালাতে দিচ্ছেন না শাসকদল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের নেতারা।
[ভোটের আগেই বীরভূমের জেলা পরিষদের দখল নিল তৃণমূল]
শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের রঘুনাখপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াচক গ্রামসভার সিপিএম প্রার্থী মৌসুমি নাখোদা। এলাকাটি ডানকুনি থানার অন্তর্গত। মৌসুমিদেবীর স্বামী পেশায় অটোচালক। উত্তরপাড়া স্টেশন থেকে ডানকুনি দিল্লি রোড পর্যন্ত অটো চলে। এই রুটেই অটো চালান সিপিএম প্রার্থীর স্বামী প্রমোদ নাখোদা। তাঁর স্ত্রীর দাবি, শাসকদলের লাগাতার হুমকিতেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। কিন্তু, এখন আর অটো চালাতে পারছেন না প্রমোদবাবু। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার অটো নিয়ে স্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, ইউনিয়নে বোর্ডে একটি নোটিস টাঙানো হয়েছে। নোটিসে লেখা, ইউনিয়নের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রমোদ নাখোদাকে আর অটো চালাতে দেওয়া হবে না। ওই অটোচালকের অভিযোগ, অটো ইউনিয়নটি পরিচালনা করেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। তাঁর স্ত্রী সিপিএম প্রার্থী হওয়ার জন্যই তাঁকে অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন উত্তরপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার করতেন প্রমোদ নাখোদা। বেশি ভাড়াও নিতেন তিনি। তাই ওই অটোচালককে সাসপেন্ড করেছে ইউনিয়ন।
[সংসারের ঝক্কি সামলেই ভোটের ময়দানে, বাড়ি বাড়ি প্রচারে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.