সোমনাথ পাল, বনগাঁ: শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভোট মিটতেই পঞ্চায়েতে নিশ্চিত ক্ষমতা দখল করতে একেবারে একশো শতাংশ এগিয়ে থাকল শাসকদল তৃণমূল। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁ মহকুমার ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। শুধুমাত্র বনগাঁ নয়, গোটা উত্তর ২৪ পরগনায় কার্যত নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ওই পঞ্চায়েতের মোট ১৮টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে বিরোধীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় পঞ্চায়েত দখলে একশো শতাংশ এগিয়ে থাকল তৃণমূল।
[ বীরভূমে স্ক্রুটিনি শেষে উধাও ‘ভূতুড়ে প্রার্থী’, ভূত পালিয়েছে দাবি অনুব্রত মণ্ডলের ]
বৃহস্পতিবার বনগাঁ বিডিও অফিসে গিয়ে সিপিএমের দশজন ও বিজেপির চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। আর তাতেই ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জয় দেখছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জেলাতে পঞ্চায়েত দখলে এগিয়ে থাকল দল, বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। বনগাঁ পুরসভার পুরপিতা তথা তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য বলেন, “এই সকল প্রার্থীদের সিপিএম ও বিজেপি ভুল বুঝিয়ে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তৃণমূলের উন্নয়নকেই সমর্থন করেছেন।”
উল্লেখ্য, বিস্তর জটিলতার পর বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়ে ১৪ মে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা ১৭ মে৷ রমজানের আগেই শেষ হচ্ছে ভোটপ্রক্রিয়া৷ প্রসঙ্গত, একাধিক জেলার পঞ্চায়েত আসনে ইতিমধ্যেই জয় প্রায় পাকা শাসকদলের প্রার্থীদের। কারণ, অনেক আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধী দলগুলি। আবার অনেক ক্ষেত্রেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। তবে এনিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। পালটা শাসকদলের দাবি, প্রার্থী দিতে না পেরে এবার অযথা দোষারোপ করছে বিরোধী দলগুলি।
[গাড় কাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগ, পচা মাংস পাচার নেপাল-বাংলাদেশেও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.