সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সশরীরে হাজির না হয়েও মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মান্যতা পেয়েছিল ই-মনোনয়ন। কলকাতা হাই কোর্টের এই যুগান্তরকারী রায়ে প্রায় নতুন অভিমুখ পেয়েছিল এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। যদিও সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে যে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল জয়লাভ করেছিল, সেখানেও ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জুলাই।
[ নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটে বাধা নেই, রায় আদালতের ]
মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর একটা দিন বাড়িয়েও রাতারাতি তা প্রত্যাহার করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জল গড়ায় আদালতে। পরে আদালতের রায়ে বাড়ে মনোনয়নের একটা দিন। সেই বাড়তি দিনেও রক্তপাত, প্রাণহানির সাক্ষী থেকেছে বাংলা। অনেক প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে ই-মেল মারফত মনোনয়ন পাঠিয়েছিলেন। তা কি গ্রাহ্য হবে? এই প্রশ্নেই আদালতে গিয়েছিল বামেরা। তাদের প্রায় ৮০০ ই-মনোনয়ন জমা পড়েছিল বলেই দাবি। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, ই-মনোনয়ন গ্রাহ্য। এইভাবে নমিনেশন জমা দেওয়া বৈধ প্রার্থীদের নাম ব্যালটে প্রকাশ করতে হবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর দুটো দিক। একদিকে এই রায়ের ফলে স্বস্তিতে কমিশন। তাকে নতুন করে আর ব্যালট ছাপাতে হচ্ছে না। এদিকে আজই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হলে কমিশন যে কোনও দিন ভোট করা তে পারে। ফলে ১৪ মে ভোট করানো নিয়ে কমিশনের আর কোনও আইনি বাধা থাকল না।
[ সুখের সংসারে রাজনীতির হাওয়া, প্রচারে ধুম দম্পতির ]
দ্বিতীয়ত, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে ৩৪ শতাংশ আসনে শাসকদল জয়লাভ করেছে, তারও ফলপ্রকাশ করা যাবে না। অর্থাৎ সেখানেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম শংসাপত্র এখন দেওয়া হলে তা বৈধ নয়। ফলে ১৪মে যে ভোট হবে তা আসলে ৬৬ শতাংশ আসনে। বেশিরভাগ ই-মনোনয়ন হয়েছে ওই ৩৪ শতাংশ আসনেই। যে মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই। ফলে ওই ই-মনোনয়ন আদৌ বৈধ কিনা, এবং ওই আসনগুলির ক্ষেত্রে পুনরায় নতুন করে মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচন হবে কি না, তা ৩ জুলাই জানা যাবে।
আপাতত দুই রায়ের ভিত্তিতে ১৪ মে ভোট করানোর ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না। তবে তা হবে ৬৬ শতাংশ আসনেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.