Advertisement
Advertisement

সুখের সংসারে রাজনীতির হাওয়া, প্রচারে ধুম দম্পতির

মুখ্যমন্ত্রীর পথ অনুসরণ করে রাজনীতির ময়দানে ঢালি দম্পতি।

WB panchayat polls: Nadia couple to fight on TMC ticket
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 10, 2018 1:38 pm
  • Updated:May 10, 2018 1:38 pm  

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: সম্পর্কে ওঁরা স্বামী-স্ত্রী৷ সুখী দম্পতি জীবন৷ কিন্তু, সুখের সংসারে ভোটের রাজনীতি এভাবে দু’জনকে ‘ভিন্ন’ করে দেবে, তা ভাবতেই পারেননি স্থানীয়রা৷ কারণ, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে স্বামী যখন জেলা পরিষদের প্রার্থী, তখন স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী৷

যদিও এই দম্পতির আদর্শের মুখ একজনই, তিনি আর কেউ নন মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ ইচ্ছে ওঁদের একটাই, ‘‘যতদিন বাঁচব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে মানুষের জন্য কাজ করে যাব৷’’ ভালবেসে বিয়ে করে সেই ভালবাসাটাকেই ‘অস্ত্র’ করে এবারেও দু’জনে ভোটপ্রার্থী৷ ওই দম্পতির বিশ্বাস-ও একটাই? এই অস্ত্র ব্যবহার করে আজ দেশের জননেত্রী হয়ে উঠেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ দু’জনেই সেই পথেরই পথিক৷ তাঁরই ফলোয়ার৷

Advertisement

দু’জনের বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালি থানার বগুলা কলেজপাড়ায়৷ স্বামী কল্যাণ ঢালি বর্তমানে হাঁসখালি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি৷ রাজনৈতিক জীবন প্রায় পঁয়ত্রিশ বছরের৷ মাত্র পনেরো বছর বয়সে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু৷ কল্যাণবাবু এবারেও জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসনেই দাঁড়িয়েছেন৷ গতবার তার জয়ের মার্জিন অনেককেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল৷ প্রায় ১৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন৷ ‘‘এবার মার্জিন আরও বাড়বে, আমার স্থির বিশ্বাস৷’ বললেন কল্যানবাবু৷ স্ত্রী রত্না ঢালি দাঁড়িয়েছেন বগুলা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়ে৷ তিনিও জিতেছেন গতবার ভাল ভোটেই৷ ঢালি দম্পতির ছেলে নেই৷ একটি মাত্র মেয়ে শ্রীয়া বর্তমানে রানাঘাট কলেজের বিএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী৷

একটি মাত্র মেয়ে হওয়ায় বিরাট কিছু আয় নিয়ে ঠিক অতটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নন একেবারেই৷ কল্যাণ ঢালি জানালেন, ”একটা সময় বাজারে অফিসিয়াল স্টেশনারি জিনিসের দোকান ছিল৷ এখন আর নেই৷ বিক্রি করে যা পেয়েছিলাম, তার টাকায় কোনভাবে চলে যায়৷ হাতে আর সময় বেশিদিন নেই৷ গতবারের থেকে আরও ভাল ফল হবেই৷” আর তাই, পরিশ্রমটা একটু বেশিই৷ যদিও সারাটা বছরই প্রচারের একটু অন্য পথে হাঁটেন রত্না ঢালি৷ কল্যাণবাবুই মানলেন সেই কথা৷ বলেন, ‘‘পাড়ার সবার বিপদে-আপদে তিনি পাশে দাঁড়ান৷ জন্মদিনে যান৷  আবার অসুস্থ মানুষকে দেখতে তো অবশ্যই যান৷’’ না, ফর্মাল প্রচারে তিনি বিশ্বাসী নন৷ তাঁর সাফ কথা, ‘‘কে সিপিএম, কে বিজেপি বা কে অন্যদল করেন, আমি তা দেখতে যাব কেন? আমি আমার ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি৷ সবাই আমার নিজের, কাছের৷ দরকার হলে সবরকম ভাবে তাদের পাশে থাকব৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement