অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী হলেও পরিবারের কেউ কোনওদিন ভোটের প্রার্থী হতে পারেননি।তবে সেই আক্ষেপ এবার ঘুচেছে। কারণ, পঞ্চায়েত যুদ্ধের লড়াইয়ে (Panchayat Election) সেইসব পরিবারের তরুণ তুর্কিদের উপর আস্থা রেখেছে সিপিএম। এদের মধ্যে করোনা (Coronavirus) আবহে কেউ রেড ভলান্টিয়ার্স হয়ে মুমুর্ষু রোগীকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন,আবার কেউ খেতমজুরের ছেলে আবার কেউ খেতমজুর ও কলেজ পড়ুয়া রয়েছেন। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের তরতাজা এমন প্রার্থীরাই এখন ভোটের প্রচারে ঝড় তুলছেন।
পূর্বস্থলী (Purbasthali) পঞ্চায়েতের পলাশপুলির বাসিন্দা সুস্মিতা অধিকারীর বাড়ি থেকে কেউ কোনওদিনই ভোটের প্রার্থী হতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলোও সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।তবে এবার তিনি নিজেই ওই পঞ্চায়েতের ৩ নং আসনের সিপিএমের (CPM) প্রার্থী হয়েছেন। জেতার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ২১ বছর বয়সী সুস্মিতা। তিনি নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্সের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। তিনি বলেন, “এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের পাশে দাঁড়াতেই রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা ছিল।সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে।”
অন্যদিকে, নিমদহ পঞ্চায়েতের ২১ নং আসনের প্রার্থী হয়েছেন ২২ বছর বয়সী নয়ন দাস। মধুপুরের খেতমজুর পরিবারের এই যুবক করোনা আবহে মূর্মূষু রোগীদের বাঁচাতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান দিয়ে রেড ভলান্টিয়ারের (Red Volunteer) কাজ করছেন।পাশাপাশি রক্তদানও করেছেন। কলেজে পড়তে পড়তে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে না পারলেও পরিবারের ভরণপোষনের জন্য তাকেও খেতমজুরের কাজ করতে হয়। নয়ন বলেন, “খেতমজুর,শ্রমিক পরিবারের যন্ত্রণাটা আমি খুব বুঝি।তাই ভোটে জিতে এসব মানুষ ও এলাকার মানুষের পাশে আমি দাঁড়াতে চাই।”
সদ্য কলেজ পাশ করা বহড়ার বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী হাসিবুল শেখ এবার পিলা পঞ্চায়েতের ১৬ নং আসনের প্রার্থী হয়েছেন। খেতমজুর বাবার ছেলে হাসিবুল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের এসএফআইয়ের (SFI) লোকাল কমিটির সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনিও করোনা আবহে রেড ভলান্টিয়ারের কাজ করেছেন। তাই তাঁরও ইচ্ছা ভোটে দাঁড়িয়ে এলাকার ও মানুষের উন্নয়ন করা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.