সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ রাজ্যের নির্বাচনগুলিতে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা নতুন কিছু নয়। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনই বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি হয়েছে ১৯ জনের। রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি আরও কয়েকজন। এর দায় কার? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী – একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। বিজেপির দাবি, রাজ্য পুলিশেরই দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার। আর কমিশনের দাবি, অশান্তি রুখতেই আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। দায় যারই হোক, হিংসায় প্রাণহানি নিয়ে এবার বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর।
বারবার নির্বাচনী আবহে এমন অশান্ত পরিস্থিতিতে মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাচ্ছে, বলেন ডেবরার (Debra) বিধায়ক। দুঁদে পুলিশ অফিসার হিসেবে যার খ্যাতি ছিল একসময়ে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলেছেন। অবসরের পর তিনি রাজ্যের শাসকদলে যোগ দিয়ে ডেবরা থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এই এত মৃত্যুর পর একদা আইনরক্ষক হিসেবে উদ্বিগ্ন বোধ করছেন বলে জানান হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। আর কতদিন এসব চলবে? কেন প্রাণহানি শূন্য করা যাচ্ছে না? এসব প্রশ্ন তুললেন তিনি।
তাঁর কথায়, ”বাঙালি হিসেবে আমি লজ্জিত, মর্মাহত। মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে? যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু আমরা বদলাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।” তিনি জানান, এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি। ২০০৮ সালে দায়িত্বে থাকার সময় বর্ধমানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিলেন। প্রচুর অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছিলেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ”অভিষেক বলেছিলেন, বিরোধী প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন দিতে পারে। আমি নিজে থেকেই বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে সাহায্য করেছিলাম। এত খুনোখুনি, মারামারি, কেন জিরো করতে পারছি না ? মৃত্যু কাম্য নয়। মৃতের পরিবারই জানেন এটা কতখানি কষ্টকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা। ভয়মুক্ত, রক্তহীন নির্বাচন করতে পারলাম না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.