সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুকুল রায়ের পর এবার দিলীপ ঘোষকে চাঁচাছোলা আক্রমণ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উচিত হাস্যকৌতুকে অভিনয় করা’, এই বলে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল মহাসচিবের। ২০১১’র পর থেকে বারবার জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শাসনকালে ‘জঙ্গলমহল হাসছে’ বলে দাবিও করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শুক্রবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেন, ‘বাম আমলের থেকে কিছুই বদলায় নি জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি। এখনও জীবনযাপনের জন্য কেন্দুয়া পাতার উপরই নির্ভর করতে হয় জঙ্গলমহলবাসীকে।’ দিলীপের এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়েই তাঁকে কৌতুক অভিনেতার সঙ্গে তুলনা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে ‘চাটনিবাবু’ বলে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের গড় হিসেবেই পরিচিত জঙ্গলমহল। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য এলাকার তুলনায় জঙ্গলমহলে ফল খারাপ শাসকদলের। চমকপ্রদভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম দুই জেলাতেই লড়াই হয়েছে সেয়ানে-সেয়ানে। ঝাড়গ্রামে হেরেছেন তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। যদিও, জঙ্গলমহলের দুই জেলায় তৃণমূলের ফলকে খারাপ ফল হিসেবে দেখতে নারাজ দলের মহাসচিব। তাঁর ভাষায়, এই ফল ‘আশানূরূপ’ নয়। কী কারণে এমন ফল হল তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জঙ্গলমহলের পাশাপাশি, গোটা রাজ্যেই চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের ধারেকাছে না গেলেও ভোটের হার বেশ খানিকটা বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। প্রশ্নাতীতভাবে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের আসনটি দখল করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। বিজেপির এই সাফল্যকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে পদ্মশিবির। যদিও, গেরুয়া শিবিরে উত্থানকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিকে কটাক্ষ করে পার্থর মন্তব্য, ‘কেউ ০ থেকে বেড়ে ৩ পেলে তাঁকে ভাল ছাত্র বলা যায় না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.