রাজা দাস, বালুরঘাট: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলাফলে গেরুয়া শিবিরের উন্নতির কোনও লক্ষ্ণণ দেখা যায়নি। উলটে উত্তরবঙ্গের শক্ত গড়ও হাতছাড়া হয়েছে। দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুররা হেরেছেন নিজেদের বুথে। শুধু তাই নয়, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া চকরাম গ্রামেও হার বিজেপির (BJP)। সুকান্তকে ফের ওই গ্রামমুখী না হওয়ায় নিদান তৃণমূলের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘ত্যাজ্যপুত্র’ করেছে বলেই কটাক্ষ ঘাসফুল শিবিরের।
বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গ্রাম চকরাম। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামে আগেরবার সদস্য ছিলেন বিজেপির। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখিত বীর চুরকা মুর্মুর গ্রাম সেটি। সাংসদ হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই গ্রামকে দত্তক (Adopted) নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই গ্রামে বেশ কিছু সৌরবাতি লাগিয়েছিলেন সাংসদ তহবিলের টাকায়। তবে রাস্তাঘাট, নিকাশি বা গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি ও তার দলের সাংসদ সুকান্ত উপর বড় ক্ষোভ সামনে এসেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই। যার প্রতিফলন ঘটেছে ভোট বাক্সে। ওই গ্রাম সংসদেই শতাধিক ভোটে হেরেছে বিজেপি। চকরাম সংসদে মোট ভোটার ১০৭৩ জন। সেখানে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সুধা দেবনাথ পেয়েছে ৪৮৯ টি। বিজেপি প্রার্থী অষ্টমী দেবনাথ পেয়েছেন ৩৭৭ টি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে এভাবে বিজেপির পরাজয়কে নিয়ে চর্চা বালুরঘাটে।
ওই এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, ”দত্তক নেওয়ার পর সুকান্ত মজুমদারের উপর অনেক আশা রেখেছিল গ্রামবাসীরা। কিন্ত তাকে ওই এলাকায় দু-তিনবারের বেশি দেখা যায়নি। কয়েকটি সোলার লাইট দেওয়া ছাড়া আর কিছু করেননি গ্রামের জন্য। সুকান্তবাবু স্বঘোষিতভাবে দত্তক নিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রামের মানুষ ত্যাজ্যপুত্র করেছেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।” বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, সবাই জানে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কীভাবে ছাপ্পা হয়েছিল। নির্বাচনের নামে প্রহসনের ফলে এমনটা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.