দেবব্রত মণ্ডল, ক্যানিং: শুক্রবার ভাঙড়, শনিবার ক্যানিং। মনোনয়ন পর্বে অশান্তি ছড়ানো একাধিক জায়গায় সশরীরে ঘুরে এলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। ভাঙড় ঘুরে তাঁর যে পর্যবেক্ষণ ছিল, ক্যানিং থেকে তার তীব্রতা আরও বাড়ালেন তিনি। কোথাও কোথাও গণতন্ত্র নয়, দলতন্ত্র চলছে, এই অভিযোগও তুললেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। যা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রথমে রাজ্যপাল যান ক্যানিং (Canning) হাসপাতাল মোড়ে। সেখানে আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেনি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তারপর তিনি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস ও ক্যানিং থানার আইসির সঙ্গে কথা বলেন। এদিন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন সিপিএম, আইএসএফ ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। সেচ দপ্তরের অফিসে বসে তিনিও তাঁদের সকলের কথা শুনেছেন। রীতিমত লিখিত আবেদন নিয়ে কর্মীরা তাঁকে সমস্ত কথা বলেন।
ক্যানিং ঘুরে সন্ধে নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। শেক্সপিয়র-রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ”আমি অত্যন্ত ব্যথিত। যা ঘটছে, তা হওয়া কাম্য নয়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাহুবল ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজ্যপাল হিসেবে আমার কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। সংবিধান ছুঁয়ে শপথ করেছি। সেই জোরেই আমি যা যা করার, তা করবই। আমাদের চোখ খোলা দরকার। আমি এখানে এসেছি, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়়াতে। মানুষের অধিকার, সুরক্ষার অধিকার রক্ষা করতেই হবে।”
রাজ্যপালের এই ভূমিকায় অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কথা। তাঁর সঙ্গে শাসকদলের অহরহ দ্বন্দ্ব ছিলই। প্রায় প্রতিটি ইস্যুতেই মতানৈক্য লেগে থাকত। যদিও বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক এমনটা নয়। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, বাংলায় আগ্রহী হয়ে বাংলা ভাষা শেখা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের এহেন ভূমিকায় খুব বেশিদিন মধুর সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.