সম্যক খান, মেদিনীপুর: বিরোধীদের ভাষায় ‘কেশপুর আছে কেশপুরেই’। মোট ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ টি এককভাবে দখল করে নিল তৃণমূল। সিংহভাগ আসনে মনোনয়নই দাখিল করতে পারল না বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৪৫ টি আসনের মধ্যে ১৯টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। তবে বিরোধীরা তুলনামূলকভাবে বেশী সংখ্যক প্রার্থী দিতে পেরেছে গড়বেতায়।
সিপিএম জেলা সম্পাদক তথা একসময়কার ডাকাবুকো নেতা সুশান্ত ঘোষের খাসতালুক বলে পরিচিত গড়বেতায় প্রায় ৬০ শতাংশ প্রার্থী দিতে সমর্থ হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। সুশান্তবাবু বলেছেন, কেশপুরের চরিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। মারধরের পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। কেশপুর, পিংলার মতো দুএকটি ব্লক বাদ দিলে জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সমিতিতে সেই হার প্রায় ৮০ শতাংশ। আবার জেলা পরিষদে একশো শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছেন তাঁরা। অপরদিকে জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক শুভজিৎ রায়ও বলেছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি এবার হয়নি। সন্ত্রাস থাকলেও এবার অনেক আসনে প্রার্থী দিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, কেশপুর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ৩০৫টি। তার মধ্যে সিপিএম মাত্র ২৪ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬২ টি আসনে। ফলে ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই মুহুর্তে বোর্ড গঠনের জায়গায় তৃণমূল চলে গেলেও বাকিগুলিতে বোর্ড গঠন যে কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গঠনের পথে এক পা এগিয়ে দিয়েছে শাসকদল। মোট ৪৫ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে যথাক্রমে ১৫ ও ১২ টি আসনে। ইতিমধ্যে ১৯ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীও হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একইভাবে গড়বেতাতেও পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬ টি আসনের মধ্যে ৬ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছে তারা। গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১৩ টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১৩৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর বিজেপি মাত্র ১২৭ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতেও প্রায় ৬০ টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড ইতিমধ্যে দখলও করে নিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.