স্টাফ রিপোর্টার: এসএসকেএম বা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়। এবার রোগী পরিষেবাকে তথ্য প্রযুক্তির মোড়কে উন্নীত করেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। একইভাবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজও চিকিৎসা পরিষেবাকে একশো ভাগ কম্পিউটার বন্দি করে ফেলেছে। তাই এই দুটি জেলা মেডিক্যাল কলেজকে রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করল স্বাস্থ্যভবন। রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা. কৌস্তভ নায়েক এই মর্মে মঙ্গলবারই সরকারি আদেশনামা প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাগর দত্ত এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোরে রোগীদের টিকিট কাটা থেকে চিকিৎসা পরিষেবা , প্যাথলজি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এখন স্বাস্থ্যভবনের নখের ডগায়। এছাড়াও কোন বিভাগে রোজ কত রোগী ভর্তি হচ্ছে, কী সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, কতজন সুস্থ হচ্ছে, কোন রোগী কোন সমস্যায় মারা গেল, অথবা কোনও রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বড় হাসপাতালে রেফার করতে হচ্ছে কি না সবটাই এখন কম্পিউটার বন্দি।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক আধিকারিক জানান, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ রোজ গড়ে ৩ হাজার রোগী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য আউটডোরে দেখাতে আসেন। প্রায় সমসংখ্যক রোগী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরেও প্রতিদিন হাজির হন। দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকে। সেই ক্ষেত্রে রোগীকে ফাইল হাতে করে এক চত্ত্বর থেকে অন্য চত্বরে ঘুরতে হয় না। কম্পিউটারে সেই রোগীর যাবতীয় তথ্য অন্য বিভাগের চিকিৎসকের কম্পিউটারে পাঠানো হয়। ফলে রোগীর ফাইল হারানোর ভয় নেই।
দ্বিতীয়ত, রোগীদের তথ্য স্বাস্থ্যভবনেও হাসপাতালের ফাইলে নথিভুক্ত হয়। প্রয়োজনে দশ বছর পরেও সেই রোগী আউটডোর কম্পিউটার টিকিট নম্বর আনলেই তাঁর অতীতের সব তথ্য জানা যাবে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, এখনও কম্পিউটারের কালি অথবা কাগজ চাহিদা অনুযায়ী সময় মত পাওয়া যায় না। কিন্তু এই প্রযুক্তি সাগর দত্ত চালু করেছে ১৩ বছর আগে। এখন এই প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরে। একইরকমভাবে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.