সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের ছোঁড়া গুলিতে শহিদ সুবোধ ঘোষ (Subodh Ghosh)। নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ওই বাঙালি জওয়ানের দেহ ফেরার প্রতীক্ষায় তাঁর পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই শহিদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সমালোচনায় সরব প্রত্যেকেই। টুইটে শহিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কেন এতদিন পর টুইট করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
রবিবার সকালে একটি টুইটে শহিদ সুবোধ ঘোষকে বীরত্বকে কুর্নিশ জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ট্যাগ করা টুইটের মাধ্যমে শহিদের পরিবারকে সমবেদনাও জানান ধনকড়।
Salutations to valour of Gnr Subodh Ghosh,Village Raghunathpur, District Nadia, West Bengal @Mamtaofficial , who made Supreme Sacrifice in Unprovoked Pak Cease Fire Violation at Gurez & Uri Sector on 13 Nov 20.
Deepest condolences to the bereaved family @easterncommand
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 15, 2020
খুব মেধাবী না হলেও ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালই ছিলেন সুবোধ। নিজের যোগ্যতায় বেশ কম বয়সেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুবোধের পরিবার সূত্রে খবর, গত চার বছর ধরেই সেনাবাহিনীতে ছিলেন। গত বছর বিয়ে করেন। তিনমাসের কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁর। জুলাই মাসে শেষবার মাত্র ৪০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে ফিরেছিলেন সুবোধ ঘোষ। কথা দিয়ে গিয়েছিলেন ডিসেম্বরে আসবেন তিনি। দেখবেন সন্তানের মুখ। কথা রাখতে পারলেন না বাঙালি জওয়ান। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষবারের মতো ছেলের সঙ্গে কথা হয় মা বাসন্তীর। তার পরেরদিনই মেলে দুঃসংবাদ। সুবোধের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কাছের বন্ধুরা। শনিবার সুবোধ ঘোষের বাড়িতে যান বিধায়ক গৌরীশংকর দত্ত। শহিদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বিধায়ক। রাজ্য সরকার সবসময় শহিদ পরিবারের পাশে আছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury। শেষবার কফিনবন্দি দেহ দেখার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে রঘুনাথপুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.