অর্ণব দাস, বারাসত: ভোট পরবর্তী হিংসা, গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পরেও সেই একই সুর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলায়। আরও একবার হিংসা নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি।
এদিন সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ৭,৫০০ বর্গ ফুট পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপর বারাকপুরের গান্ধী ঘাটে চলে যান তিনি। সেখানেও পতাকা উত্তোলন করেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সুদেশ ধনকড়। গান্ধী ঘাটের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। গান্ধী ঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ধনকড়। বলেন, “গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা হিংসা। সম্মান করতে হবে মানবাধিকারকে।” যদিও অন্যান্য দিনের মতো এদিন সরাসরি রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নাম না করলেও কার্যত হিংসা, মানবাধিকার কথা তিনি রাজ্য সরকারের উদ্দেশেই বলেছেন।
রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে আবার কখনও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। করোনাকালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। কখনও চিঠি আবার কখনও টুইটে শানিয়েছেন আক্রমণ। সম্প্রতি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে বাংলার মসনদে বসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর থেকে যেন আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। বিরোধী বিজেপির পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। বিধানসভা অধিবেশনের সূচনার বক্তৃতা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু চিঠি কিংবা টুইটেই থমকে যাননি তিনি। অনেকেই মনে করেন, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একেবারে অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সদ্যই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেন ধনকড়। কী নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের, সে বিষয়ে যদিও রাজ্যপালের দাবি ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.