সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আমফান (Cyclone Amphan) পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ত্রাণ বিলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের নাম ত্রাণ দুর্নীতিতে উঠে আসে। কিন্তু এবার সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মানুষ ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। সে যেই দলেরই হোক। এবার রাজ্যের চার জেলার পাঁচ ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করল সরকার। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমফানে ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্য বণ্টনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের খেত বাঁচানোর জন্য যে ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের তরফে বরাদ্দ হয়েছিল তাতে কারচুপির প্রমাণ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই মতে প্রমাণ মিলতেই ওই পাঁচ বিডিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তাঁদের শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং হাওড়া জেলার পাঁচ বিডিওর উত্তর অসন্তোষজনক হলেই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক আমলা। তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারের কাছে এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষই সরকারের ত্রাণ পাননি। এমনও অভিযোগ উঠছে যে বিডিও অথবা পঞ্চায়েত ঘনিষ্ঠরা এই সব টাকা পেয়েছেন, যদিও তাঁদের বাড়ি অথবা খেতের কোনও ক্ষতিই হয়নি।
কীভাবে হয়েছে এই কারচুপি? জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের বানান এবং ব্যাংকের IFSC কোড ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল লিখে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মূলত, এই তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় বিডিও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। তাই ভুলের দায়িত্ব তাঁদেরই। এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে নবান্ন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজে গোটা বিষয়ের উপর নজর রেখেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.