সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিশ্ববাংলা’ নিয়ে মুকুলের দাবি আরও একবার খারিজ করল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড ও লোগো রাজ্য সরকারের। এর লোগো মুখ্যমন্ত্রীর সৃষ্টি। বিশ্ববাংলার ১০০% মালিকানা সরকারের। এর কোনও ব্যক্তিগত মালিকানা নেই।
রাজ্য সরকারের দাবি, বিশ্ববাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশনের রেজিস্ট্রেশন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন করায় রাজ্য। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাবলিক ডোমেন ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। প্রশাসনের দাবি, বিশ্ববাংলা নিয়ে যা দাবি করা হচ্ছে তা অসত্য। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা মন্তব্য করেন, ‘বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ড ও লোগোর জন্য আবেদন জানায় সিজে অ্যাসোসিয়েটস। সিজে অ্যাসোসিয়েটস পরে আবেদন প্রত্যাহার করে। রাজ্য সরকারও বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড ও লোগোর জন্য আবেদন করে। রাজ্য সরকার বিশ্ববাংলার অনুমোদন পায়।’ বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ড ও লোগো ব্যবহারের অনুমতি ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পায় রাজ্য, জানিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
তবে এদিন একবারও মুকুল রায়ের নাম মুখে আনেননি অত্রি ভট্টাচার্য বা রাজীব সিনহা। তবে বিশ্ববাংলা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করার পিছনে যে শুক্রবার ধর্মতলা থেকে বিজেপি নেতার তুলে দেওয়া অভিযোগই দায়ী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ওই সভা থেকে যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে আক্রমণ করেন মুকুল। অভিযোগ তোলেন, ‘বাংলায় বিশ্বকাপের স্পনসর বিশ্ববাংলা একটি কোম্পানি, তার মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট।’ কিন্তু মুকুলের ওই বক্তব্য শুক্রবারই যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দেয় রাজ্য। এদিনও ফের তার পুনরাবৃত্তি হল।
মুকুলের বক্তব্যের দায় নিতে নারাজ বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিশ্ববাংলা যে আসলে কী সেটা সরকার জানে, আর মুকুলদা জানেন। ওরা বহুদিন একসঙ্গে ঘর করেছেন।’ ওই সভা থেকেই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিজ্ঞাপন নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছিলেন মুকুল। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে নাকতলার তরফে জানানো হয়েছে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর বক্তব্যে বাংলার দুর্গাপুজো কলঙ্কিত হয়েছে। চরম আইনি পদক্ষেপের জন্য যেন মুকুলবাবু তৈরি থাকেন। তবে এদিনও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন মুকুল রায়। জানিয়েছেন, আইনি পথেই তিনি এগোবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.